পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা তুমুল অশান্তি দেখা গিয়েছে রক্ত ঝরার পাশাপাশি ঝরে গিয়েছে প্রাণ। কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তারপরই সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানেই শেষ নয়। আরও কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। অশান্তি রুখতে আজ থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার কেন্দ্রের এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা করেছে কমিশন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পরই গত শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জানিয়েছে, ভোটের সময়ে নজরদারি চালাতে রাজ্যে আসবে কমিশনের প্রতিনিধিরা।
চিঠিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় মানবাধিকার জানিয়েছে যে, তারা স্বতপ্রণোদিতভাবে পঞ্চায়েত ভোটের সময় বাংলায় নজরদারি চালাবে। অর্থাৎ কোথাও কোনও অশান্তি হলে তারা নিজেদের উদ্যোগে রিপোর্ট তৈরি করবে এবং পরবর্তীকালে তা দেখিয়ে রাজ্যের কাছে জবাবদিহিও চাইতে পারে মানবাধিকার কমিশন।
আরও পড়ুন- ‘বাঘ’কেষ্টর গড়েই হাতের মোচড়, কব্জির জোরে রাতারাতি দখল তৃণমূলের সম্পত্তি!
মানবাধিকার কমিশনের এই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বারংলায় শাসক দল তৃণমূল। জোড়া-ফুলের অভিযোগ, দেশের অন্য কোনও রাজ্যে অশান্তি হলে বা কোথাও কোনও মহিলা নির্যাতিতা হলে মানবাধিকার কমিশনকে এভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায় না। অথচ এ রাজ্যে যখন সরকার ও কমিশন মিলে শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর চেষ্টা করছে, তখন সম্পূর্ণ অতিসক্রিতা দেখাচ্ছে কমিশন।