কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের মন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় সড়ক অবরোধ। আর তাতেই যত বিপত্তি। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গলিগ্রামের কাছে তুমুল যানজটের সৃষ্টি হয়। তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। আর তাতেই আটকে গেল জেলাগামী করোনার ভ্যাকসিনের গাড়ি। পরে ঘুরপথে সেটিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
রাজ্যে গ্রন্থাগার তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর নেতৃত্বে এদিন অবরোধ করা হয় ২ জাতীয় সড়কের উপর গলসির গলিগ্রাম এলাক। অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে। রাস্তার দু'দিকেই সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধ চলে।
একটা সময় অবরোধের জেরে বিশৃঙ্খলা থামাতে গিয়ে মাইক হাতে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, 'কেউ আইন ভাঙবেন না।' কিন্তু দেখা যায়, কেউ মন্ত্রীর কথা না শুনে জাতীয় সড়কেই বসে পড়েন। এরপরই লাঠি হাতে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁর দিকে তেড়ে আসেন জমায়েতকারীরা। শেষ পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন মন্ত্রী।
এই সময়ই জাতীয় সড়ক দিয়ে একটি করোনা ভ্যাকসিন বোঝাই গাড়ি বর্ধমান থেকে বাঁকুড়ায় যাচ্ছিল। বিশৃঙ্খলায় আটকে যায় সেটি। পরে ঘুরপথে সেটিকে দুর্গাপুরের দিকে পাঠানো হয়। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন, আগে থেকে ভ্যাকসিনের গাড়ি এই পথে আসার কোনও ঘোষণা ছিল না। তবে সেটি সঠিক সময়ই গন্তব্যে পৌঁছেছে।
মন্ত্রীর লাঠি হাতে রাস্তায় নামার বিষয়টিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। গোটা ঘটনাকে মমতা সরকারের মন্ত্রীর 'কপটতা' বলে তোপ দেগেছেন বিজয়বর্গীয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন