ময়নায় জাতীয় এসসি কমিশনের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকসা গ্রামে নিহত বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা জাতীয় এসসি কমিশনের প্রতিনিধি দলের। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সামনে নিজেরে ক্ষোভের কথা উগড়ে দিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সক্রিয় হলে এই প্রাণহানি আটকানো যেত বলেও এদিন এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যানের সামনে দাবি করেছেন নিহতের স্ত্রী। 'প্রশাসনিক গাফিলতিতে পশ্চিমবঙ্গে একর এক মার্ডার', বিস্ফোরক অভিযোগে সরব জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার।
পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এই খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে পৌঁছে যায় জাতীয় এসসি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।
কী তাঁদের অভিযোগ? পুলিশের ভূমিকাই বা কী ছিল? এই সব বিষয় নিয়েই নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন এসসি কমিশনের প্রতিনিধিরা। এরই পাশাপাশি ঘটনাস্থলটিও এদিন ঘুরে দেখেছেন এসসি কমিশনের প্রতিনিধিরা। গ্রামবাসীদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের। তবে পুলিশি ভূমিকা যরপরনাই ক্ষুব্ধ তিনিও। খুনের ঘটনাস্থলটি কেন ঘিরে রাখা হয়নি, তা নিয়ে এদিন ময়নার আইসি-কে কার্যত ধমক দিতে দেখা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন- মাঝ রাতে অতর্কিতে হানা, ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য
এদিন সংবাদামাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, "পরিবারকে না জানিয়ে দেহ কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল? এরাজ্যে কোথাও পরিদর্শনে গেলে সঙ্গে থাকেন না ডিএম বা এসপি। এসপি নিজে না এসে আইসিকে পাঠিয়ে অপমান করেছেন। প্রশাসনের সচেতেনতা থাকলে একের পর এক মার্ডার হত না। প্রশাসনিক গাফিলতি না থাকলে এটা হয় না। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।"
আরও পড়ুন- উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ‘মোচা’! ফের এক দফায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায়-জেলায়
এদিকে, ময়নায় বিজেপি বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের আড়াই দিনের মাথায় গ্রেফতার হয়েছে এক অভিযুক্ত। এফআইআর-এ না থাকা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই খুনে মোট ৩৪ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। যদিও রাজ্য পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই নিহতের পরিবারের। বিজেপি নেতা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে এখনও অনড় পরিবার।