জামিনের আর্জি খারিজ। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকতে হবে। একই নির্দেশ হয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ধৃত বাকি ১৭ জন কর্মীদেরও। অর্থাৎ ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে। এই নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
১০ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে এদিনই নওশাদ ও বাকিদের আদালতে পেশ করে পুলিশ। সকাল থেকেই ব্যাঙ্কশাল আদালতের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন আইএসএফ সমর্থকরা। কড়া নিরাপত্তা ছিল পুলিশেরও।
এদিন আইএসএফের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি আবদুল খালেক মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুনানির সময়ে খালেক মোল্লা আদালতে হাজির ছিলেন। জেলা সভাপতির গ্রেফতারি নিয়ে হইচই করেন আইএসএফ কর্মী, সমর্থকরা। পুলিশের দাবি, ২১ জানুয়ারি ধর্মতলার অশান্তিতে আবদুল খালেক মোল্লা জড়িত ছিলেন। এদিন তিনি বাসে করে পালানোর চেষ্টা করলে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ খালেক মোল্লাকে মাধ রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে। তবে আইএসএফের অভিযোগ, এজলাসের মধ্যে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২১ জানুয়ারি আইএসেফের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। সেই উপলক্ষে কলকাতায়র ধর্মতলায় সভা ছিল ওই দলের। সভায় যোগ দিতে আসার সময় ভাঙড়ে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। যার রেশ ধর্মতলায় পড়েছিল। আএসএফের কর্মসূচির মধ্যে ধর্মতলার রাস্তায় বলে পড়ে কর্মী, সমর্থকরা। পুলিশ বিক্ষোভ অবস্থান তুলতে বললেও তা হয়নি। উপরন্তু, পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে নওশাদ সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে এক জন নাবালকও ছিল। তাঁদের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়েছিল।