পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পুলিশে মামলা করেছিলেন এক মহিলা। যাকে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' বলে দাবি করেছিলেন নৌশাদ সিদ্দিকি। অভিযোগের পরেই কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আর্জি জানান বিধায়ক। সেই আবেদন মঞ্জুর করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আপাতত রক্ষাকবচ দেওয়া হল নৌশাদকে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, আগামী ১৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত নওশাদের বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ পুলিশ করতে পারবে না।
এক সপ্তাহ আগে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন এক মহিলা। নিউটাউন থানা অভিযোগ দায়ের করা হয়। মহিলা পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে আইএসএফের দফতরে ধর্ষণ করেছিলেন বিধায়ক। অভিযোগকারিণী মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়েরের সময় ওই মহিলার সঙ্গে ছিলেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নেতা সব্যসাচী দত্ত।
এরপর নৌশাদ বলেছিলেন যে, 'অভিযোগের সত্যতা অভিযোগকারিণীর পরিচয় থেকেই স্পষ্ট।'