Advertisment

অবশেষে নওশাদ সিদ্দিকীর জামিন মঞ্জুর, বুধেই প্রশ্ন তুলেছিল আদালত

গ্রেফতারির ৪০ দিনের মাথায় জামিন নওশাদের

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
naushad siddiqui and isf others jail custody till february 15, নওশাদ সিদ্দিকিদের জামিনের আর্জি খারিজ, এবার জেল হেফাজত

ছবি- পার্থ পাল

জামিন পেলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রেফতারের ৪০ দিনের মাথায় নওশাদের জামিন মঞ্জুর হল। ২১ জানুয়ারি কলকাতায় গন্ডগোল, পুলিশকে আক্রমণ ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে নওশাদ ও আইএসএফের একাধিক কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ।

Advertisment

একের পর এক থানায় মামলা ও একমাসের উপর আটকে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি নওশাদের বক্তব্যের ভিডিয়ো শুনেছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। নওশাদ বা অন্যান্য মামলাকারীদের ভূমিকা কীভাবে প্রমাণ হয়? সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি।

গত ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাঙড়ের অশান্তির জের পৌঁছেছিল ধর্মতলায়। আইএসএফের কর্মী-সমর্থকেরা পথ অবরোধ শুরু করলে তাঁদের সরাতে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে নওশাদ ও দলের কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ধর্মতলা চত্বর। সেদিনই গ্রেফতার করা হয় নওশাদ আরও ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থককে। পরে আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। হেয়ার স্ট্রিট সহ একাধিক থানায় মামলা হয় নওশাদের বিরুদ্ধে। বারবার পুলিশ হেফাজত বা জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধায়ককে। পরে জামিনের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক।

আরও পড়ুন: < বিরাট ফাঁপরে গৌতম আদানি, সেবিকে তদন্তের নির্দেশ, বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল শীর্ষ আদালত >

নওশাদের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'যদি রাজ্য দেখায় যে নওশাদ সিদ্দিকীর উস্কানিমূলক বক্তব্যের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে, তাহলে?' জবাবে মামলাকারীর আইনজীবীর বলেন, 'এই ধরনের কোনও আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। পুলিশকে মারতে বলা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। পুলিশ তা দেখাতেও পারবে না।'

kolkata highcourt naushad siddiqui
Advertisment