এ রাজ্যের এনসিসি-র জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দিচ্ছে না পশ্চিবঙ্গ সরকার। অর্থের জন্য গত কয়েক মাসে বার কয়েক চিঠি দেওয়া হলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই নবান্নের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে এনসিসি-র ডিজি-কে চিঠি দিয়ে এই অভিযোগ করেছেন বাংলায় ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের (এনসিসি)দায়িত্বে থাকা এডিজি, মেজর জেনারেল ইউ এস সেনগুপ্ত-র। এই অভিযোগকে পুঁজি করেই সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রী বাংলার তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করছেন বলে কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্যদের।
এনসিসি-র ডিজি-কে লেখা চিঠিতে উল্লেখ, বছরে পাঁচ কোটি টাকার অনুদান এনসিসি-র তহবিলে দেয় রাজ্য সরকার। সেই টাকাই রিলিজ করা হচ্ছে না। গত মার্চ-এপ্রিল মাসে মাত্র ৮০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর কোনও ফান্ড রিলিজ করা হয়নি। অর্থের দাবিতে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে গত কয়েক মাসে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও অবস্থা বদলায়নি। ফলে এনসিসি ক্যাডাররা চরম সমস্যায় পড়েছেন। বন্ধ ক্যাম্প।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নবান্নের কাছে অনুদান চাওয়া হলে রাজ্য সরকার বাংলায় এনসিসি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিজি-কে জানিয়েছে, সরকারের কাছে অর্থ নেই। ফলে বরাদ্দ দিতে অসুবিধা হচ্ছে।
এই ইস্যুতে মমতা সরকারকে কড়া নিশানা করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইটে লিখেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করছে। তাঁর সরকার এনসিসি ক্যাডেটদের জন্য তাদের বি এবং সি সার্টিফিকেট পরীক্ষার জন্য তহবিল প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। যদিও তাঁর তুষ্টির জন্য কোন তহবিলের অভাব নেই, তিনি যুবকদের জন্য কোনও উদ্বেগ দেখান না।'
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'এই সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। কোনও কিছুরই টাকা দিতে পারছে না। বাংলার ভবিষ্যৎ শেষ করে দিচ্ছে পিসি-ভাইপোর কোম্পানি।'
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইটে লিখেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করছেন এবং তরুণদের ক্যারিয়ার ধ্বংস করছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তহবিল প্রকাশ করতে অস্বীকার করায় এখন বাংলায় এনসিসি ক্যাডেটরা ভোগান্তিতে। ক্যাডেটরা তাদের বি এবং সি সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিতে আগ্রহী, যাএর মাধ্যমেই তারা সরাসরি এসএসবি ইন্টারভিউ পেতে পারত, সুযোগটি মিস করবে।'
কেন এনসিসি-র জন্য রাজ্য ফান্ড রিলিজ করছে না? বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন তৃণণূল সাংসদ সৌগত রায়।