নতুনভাবে সেজে উঠছে নেতাজীর বাড়ি। বসু পরিবারের হেরিটেজ অক্ষুন্ন রাখতেই এবার নেতাজীর পৈতৃক ভিটে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আজ, বুধবার, নেতাজির ১২৩ তম জন্মদিনে সুভাষগ্রামের কোদালিয়ায় এই বাসভবন দেখতে পাবেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। নেতাজী এক সময় এই বাড়িতে এসে দূর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দিতেন। এছাড়াও পুকুরপাড়ে ও বাগানবাড়িতে বসে গুপ্ত সমিতির সভাও করেছেন।
তবে নেতাজী যে ঘরে থাকতেন বা তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র এখনও দর্শকদের কাছে তুলে ধরা যাবে কী না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারন সংস্কারের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ করা যায় নি। মঙ্গলবার পর্যন্তও জোর কদমে চলেছে নেতাজীর বাড়িকে সাজিয়ে তোলার কাজ। খুব শীঘ্রই সেই কাজ শেষ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাড়ির একাংশ
২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি একটি সরকারি সভা থেকে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজীর পৈতৃক বাসভবন দেখতে আসেন, এবং বাড়ির ভগ্নদশা দেখে বিস্মিত হন। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি বাড়িটিকে হেরিটেজ বাড়ি ঘোষনা করেন। তারপর থেকেই হেরিটেজ কমিশন ও রাজ্যের পূর্ত দপ্তর মিলে বাসভবনের সংস্কার শুরু করে। ২০১৫ সাল থেকে চলছে বাসভবনের সংস্কারের কাজ।
সেই কাজ এখন শেষের মুখে। খুব শীঘ্রই তা শেষ হয়ে যাবে বলে আশা এলাকার মানুষের। বসু পরিবারের সম্মতিতেই নেতাজীর পিতৃদেব জানকী নাথ বসু বাড়িটিকে যেভাবে তৈরি করেছিলেন ঠিক সেই কাঠামো রেখেই সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। সেই কড়ি বড়গা, সেই কাঠের জানলা, একই রকম রয়েছে। তার সঙ্গে এবার পর্যটকদের জন্য একটি গেস্ট হাউস তৈরি করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে, যাতে পর্যটকদের কাছে এটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়। নতুন প্রজন্ম ও নেতাজী অনুরাগীদের কাছেও এই বাসভবন আকর্ষনীয় করে তোলার চেষ্টা চলছে।
নেতাজী কৃষ্টি কেন্দ্রের সম্পাদক তথা রাজপুর সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান চিকিৎসক পল্লব দাস জানান, "কয়েক বছর আগেও এই বাসভবনের যে অবস্থা ছিল, আর এখন যেভাবে বাসভবনটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে তাতে এবার নেতাজীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসে দর্শকরা বুঝতে পারবেন। তবে পুরো কাজ এখনো শেষ হয় নি। আরও কিছুদিন সময় লাগবে। নতুন কিছু পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। একটি গেস্ট হাউস তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।"