রাজ্যে গত কয়েক বছরে বড় শিল্প সংস্থা হয়নি বলে অভিযোগ করে আসছে বিরোধীরা। এদিকে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে ১০০টি নতুন এমএসএমই পার্ক তৈরির অনুমোদনের প্রস্তাব গৃহীত হল। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ৬৪২ জন টেকনিশিয়ান নিয়োগের সিদ্ধান্তও নিয়েছে রাজ্য। বৈঠকের পর অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সরকারের এই উদ্যোগের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এদিন নানা কারণে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকসহ ১০ জন মন্ত্রীসভার বৈঠকে হাজির হননি। জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত, কেউ কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাছাড়া বয়সজনিত কারণেও দৌঁড়ঝাপ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নতুন প্রকল্প ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য কমপক্ষে ২০ একর জমি প্রয়োজন। এক একটি পার্কে থাকবে অন্তত ২০টি এমএসএমই ইউনিট। একটি পার্ক করতে যেমন ২০ একর জমির কথা বলা হয়েছে তেমনই ৬০ একরের উপর জমি থাকলে ওয়্যারহাউস, গুদাম, হিমঘর তৈরির কথাও বলা হয়েছে। তাছাড়া ১০০টি এমএসএমই পার্কের জন্য সরকার নানা সুযোগ সুবিধা দেবে। জমির আয়তনের ভিত্তিতে আর্থিক সুবিধাও থাকছে এক্ষেত্রে।
মূলত পরিকাঠামো খাতে ‘ব্যাকএন্ড ইনসেনটিভ’ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ২০ থেকে ৩৯ একর পার্কের আয়তনে ২ কোটি টাকা, ৪০ থেকে ৫৯ একরের ক্ষেত্রে ৪ কোটি টাকা। ৬০ থেকে ৭৯ একরের মধ্যে ৬ কোটি। ৮০ থেকে ৮৯ একরের ক্ষেত্রে ৮ কোটি। ১০০ একর বা তার বেশি পরিমান জমি হলে ১০ কোটি টাকা। এছাড়া পাওয়ার সাব–স্টেশন, সংযোগকারী রাস্তাও সহ অন্যন্য সুবিধাও দেওয়া হবে শিল্প প্রসারে। মূলত ওয়েস্টবেঙ্গল ইনসেনটিভ স্কিম মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই।
বানতলায় লেদার কমপ্লেক্স, হাওড়ায় শিল্প পার্ক সহ ১৪টি এমএসএমই পার্ক তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এই শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে রাজ্যে নতুন করে কয়েক লক্ষ কর্ম সংস্থান হবে বলে মনে করছে সরকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন