কয়েকদিনেই ফের একবার উদ্বেগ তুঙ্গে তুলেছে করোনা। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গেও পুজোর মাত্র কয়েক মাস আগেই হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি মাতায় রেখে তাই আগেভাগে সচেষ্ট রাজ্য সরকার। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে জারি করা হয়েছে গুচ্ছ নির্দেশিকা। সেই সঙ্গে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ১৯ বেডের কোভিড সিসিইউ চালু করে দেওয়া হয়েছে।
মাঝে মাত্র দিন কয়েকের বিরতি। ফের একবার বঙ্গে করোনার রক্তচক্ষু। গতকাল পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে প্রায় দেড় হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। হু হু করে বেড়ে বঙ্গে করোনার পজিটিভি রেট ১২.৭৪ শতাংশ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু রাজ্য সরকারের।ইতিমধ্যেই কলকাতা ছাড়াও জেলার হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: <Jagannath Rath Yatra 2022: পুণ্যভূমি পুরীতে আজ শুরু রথযাত্রা, প্রাণের উৎসবে সামিল হতে সমুদ্রনগরীতে জনজোয়ার>
রাজ্য স্বাস্থ্য-দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২৪ জন। কলকাতায় ৬২১, উত্তর ২৪ পরগনায় কোভিড পজিটিভ ৪৩৫ জন, আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ১১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ৪১৪ জন। করোনা নিয়ে কার্যত বেপরোয়া মনোভাবই রোগটাকে বাড়তে সাহায্য করছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: <একটানা ভারী বৃষ্টি কবে থেকে? দক্ষিণবঙ্গের বর্ষা নিয়ে বিরাট আপডেট>
পথে বা বাস-ট্রেনে মাস্কের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। সেই সঙ্গে নেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার তাগিদ। আবার বুস্টার ডোজেও অনীহা দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, এখনই যদি সতর্ক না হওয়া যায় তবে পরিস্থিতি কিন্তু হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এদিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন পরিস্থিতি যে দিনে এগোচ্ছে তাতে চতুর্থ ঢেউ স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
সামনেই উৎসবের মরশুম। তার মাঝে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সংক্রমণের গণ্ডি দেড় হাজার পেরোতেই নয়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। সেখানে মাস্ক স্যানিটাইজার আবারও বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি হাসপাতালগুলিকে কোভিড প্রটোকল মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে টিকাকরণেও।
জমায়েত ও সভাস্থলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি টিকাহীনদের প্রবেশের ওপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালের ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়ম আরও কড়া হয়েছে। আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব মেনে কাজ কর্মের পাশাপাশি ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।