দুর্নীতি নিয়ে বিদ্ধ তৃণমূল। শাসক দলের তিন বিধায়ক জেলে। সিবিআই নজরে আরও এক। এদিকে দল বদল করলেও বুধবারই মুকুল রায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিধানসভায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা কমাতেই এই চক্রান্ত হয়েছে। পাঁচ থেকে ছ'জন বিধায়ককে একই ভাবে টার্গেট করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বড় হুঁশিয়ারি, 'সবে তো খোলা শুরু, তৃণণূলের সবাই জেলে যাবে।' পাপাশি তৃণমূলের থেকে বিজেপিতে যোগদানের ক্ষেত্রেএবার শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া মানতে হবে।
কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার?
'ওদের সকলের মাথা খারাপ হচ্ছে। আর কেউ খেলা হবে গান গাইবেনা। বুঝতে পারেনি যে সিবিআই খেলা হবে বিষয়টা এতো সিরিয়াসলি নিয়ে নেবে। তৃণমূলের প্রত্যেক বিধায়ক সূচি দিয়েছিলেন। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোটা দিতে বলেছিলেন। সবে তো খেলা শুরু, তৃণমূলের সকলে জেলে যাবে।'
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে তৃণমূলের তিন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়,মানিক সাহা ও জীবনকৃষ্ণ সাহা। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হয়েছে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। জেলে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারাও। এদিকে মুকুল রায়ও জোড়-ফুল ছেড়ে পদ্ম-ফুলে ভিড়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি ছিল, তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক নিয়োগকাণ্ডে সরাসরি এজেন্টের কাজ করেছেন। বিধানসভাতে আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে 'তোলামুলে'র এমএলএ সংখ্যা ১০০-তে নেমে যাবে। কী হবে দলের পরিণতি? পঞ্চায়েতের আগে বিভ্রান্ত শাসক দলের বহু কর্মী। এই অবস্থায় ফিরতে পারে একুশে বিধানসভা ভোটের আগের স্মৃতি। ঘাস-ফুল থেকে বহু নেতা, কর্মীই যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতি: ‘১০০ নয়, কুন্তলের ৫০০ কোটির খেলা’, ফের বিস্ফোরক তাপস মণ্ডল
একুশে দলবদলুরা হরিলুঠের মত বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। যার ফল ভুগতে হয়েছে গেরুয়া দলকে। এবার কী হবে? সুকান্ত মজুমদারের নিদান, 'যোগাযোগ করলেও পচা আলুদের আর নেব না। গঙ্গাজল, গোময়, গোমূত্র দিয়ে আগে শুদ্ধিকরণ করা হবে। তারপর দলে নেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন- দণ্ডি বিতর্ক: অনুসন্ধানে কারও ‘অপরাধ’ খুঁজে পায়নি পুলিশ, ফুঁসছে বিজেপি
এপ্রসঙ্গে পাল্টা কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, 'একুশে যোগদান মেলা বিজেপি করেছিল। তারপর গোহারা হেরেছিল। শুভেন্দু অধিকারী তো নিজেই বলেছেন যে উনি নারদায় প্রমাণিত দোষী। আমার প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদাররা শুভেন্দুকে কোনটা খাইছিলেন?'
সিপিআইএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'মুকুল রায়ই বলেছেন তৃণণূল মানেই বিজেপি আর বিজেপি মানেই তৃণমূল। এই তৃণমূল আর নয় বলে যে গান গেয়েছিলেন, ছিঃ তৃণমূল বলেছিলেন, সেই বাবুল সুপ্রিয়ই এখন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। সুতরাং এক্ষেত্রে আর শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন নেই। ওরা সব একই তো।'