তারাপীঠের গর্ভগৃহের সংস্কারের সম্পন্ন। গর্ভগৃহের মেঝের ভাঙা টাইলস ঠিক করা হয়েছে। দেবী স্নানের জল যেখান দিয়ে বেরোয়, সেই নিকাশি নালাও পরিষ্কার করা হয়েছে। মায়ের গর্ভগৃহ সম্পূর্ণভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হবে। বাতানুকূল যন্ত্র বসানোর জন্য পাইপলাইনও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এইসব সংস্কারের পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফের গর্ভগৃহে নিয়ে আসা হয়েছে তারা মায়ের মূর্তি। শুক্রবার সকাল থেকে গর্ভগৃহে মায়ের পুজোয় ভিড় জমান ভক্তরা।
মন্দির সংস্কারের পর বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম লাগু হয়েছে তারাপীঠে। পুজো দিতে যাওয়ার আগে, ভক্তদের তা জানা জরুরি। মন্দিরের সেবাইত কমিটি সূত্রে খবর, এবার থেকে আলতা, নারকেল নিয়ে গর্ভগৃহে আর প্রবেশ করতে পারবেন না ভক্তরা। সিঁদুরের পাতা বা কৌটো নিয়ে যাওয়া যাবে, কিন্তু তা খোলা যাবে না। কারণ সিঁদুর দেবীর বেশভূষার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। গর্ভগৃহে নারকেল ফাটানোর উপরও নিষেঝাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মন্দিরের মেঝে ও দেওয়াল সংস্কার হয়েছে। নারকেল ফাটালে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। এজন্যেই এসব বিধি নিষেধ কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কমিটি।
করোনা লকডাউনের সময় মন্দিরের নানা কাজ হলেও, গর্ভগৃহের সংস্কারের কাজ করা যায়নি। তাই এবার তারা মায়ের মূর্তি স্থানান্তরিত করে, সেই কাজ সম্পন্ন করা হলো। তারাপীঠের ভৈরবের মন্দিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তারা মায়ের মূর্তি। সেখানেই করা হয় দেবীর পূজার্চনা। মন্দির কমিটির তরফের খবর অনুযায়ী, গর্ভগৃহ ও বেদি সংস্কারের পাশাপাশি মন্দির রং করা হয়। যদিও গর্ভগৃহের বেদিতে নিত্য পুজোও চলছিল।
আরও পড়ুন- জাগ্রত বড়মা পূরণ করেন মনস্কামনা, ‘জীবন্ত দেবী’কে নিয়ে প্রচলিত নানা অলৌকিক কাহিনি