রাজ্যের পুরসভাগুলিতে গ্রুপ 'ডি' নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার নতুন নিয়ম চালু হবে। নিয়োগের সম্পূর্ণটাই হবে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে। একটি কমিটি গড়ে জেলাশাসক এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নজরদারি করবেন। অন্যান্য নিয়োগ হবে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমেই। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, 'আমরা প্রস্তাব দিয়েছি পুরসভাগুলিতে গ্রুপ 'ডি' পদের নিয়োগ যাতে জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে হয়।'
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ঘনিষ্ঠ' প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেখান থেকেই মেলে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি, ওএমআর শিট। ফলে শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি বিভিন্ন পুরসভার গ্রুপ 'ডি' পদে নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীর মুখে পুরসভাগুলিতে গ্রুপ 'ডি' নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালুর ঘোষণা বেশ তাৎপর্যবাহী।
নিয়োগ দুর্নীতির জেরেই কী এই বদল? গোটা অভিযোগের তদন্ত হবে? জবাবে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'আমাদের কাছে কী কাগজ রয়েছে বা তথ্য রয়েছে তা দেখে নেওয়ার জন্য আমরা দফতরকে বলেছি। এখনও আমাদের আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। তাই আগ বাড়িয়ে কিছু করব না। তবে সত্যি সত্যি কোনও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তো স্পষ্ট নয়।' পুর নিয়োগে যেসব দুর্নীতির কথা সামনে আসছে সে ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী।
অভিযোগ, এসএসসি দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের প্রমোটার অয়ন শীল পুরসভায় নিয়োগে বিপুল দুর্নীতি করেছেন। অর্থের বিনিময়ে পুরসভার গ্পুর 'ডি' পদে চাকরি বিক্রি করেছেন। গাড়ির চালক, টাইপিস্ট, ক্লার্ক, গ্রুপ ডি, সাফাইকর্মী পদের চাকরির নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। কামারহাটি, বরাহনগর, উত্তর দমদম, পানিহাটি, হালিশহরের মত পুরসভাগুলির নাম উঠে এসেছ। ইডি-র দাবি চাকরি বিক্রি করে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বেশি তোলা হয়েছে। যা নিয়েই কার্যত তোলপাড় গোটা রাজ্য।