লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্পে হাসি ফুটছে বাংলার মহিলাদের মুখে। এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা দ্রুত ২ কোটির গণ্ডি পেরতে চলেছে। এর মধ্যেই লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত করতে নয়া নিয়মের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ঘোষণাতেই আরও বড় সুবিধা হবে রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের।
এতদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে হল দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে। এই শিবির তিন মাস অন্তর বসত। ফলে কাউকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম তুলতে হলে নির্দিষ্ট .সময় অপেক্ষা করতে হত। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় এই নিয়মের বদল হয়েছে। এবার থেকে আর দুয়ারে সরকার শিবির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। বছরের সবসময়ই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করা যাবে।
নিয়ম অনুযায়ী কোনও মহিলার বয়স ২৫ বছর হলেই তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের জন্য আলাদা নিয়ম চালু রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মহিলারা স্থানীয় বিডিও অফিসে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পৌরসভা এলাকার বাসিন্দাদের মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়ে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হবে। কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত বাসিন্দাদের কেএমসি অফিসে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নাম নথিভূক্ত করার আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন- সন্ধে নামলেই কাঁপানো বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়? প্রবল আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড়েরও!
তবে, নতুন নিয়ম ছাড়াও আগের মতই দুয়ারে সরকার শিবিরেও আবেদন করার সুযোগ জারি থাকবে। অর্থাৎ, তিন মাস অন্তরও দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে এই প্রকল্পে নান নথিভূক্ত করা যাবে।
গত সেপ্টেম্বরে শেষ দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদনের ভিত্তিতে নতুন করে ৯.৫ লক্ষ মহিলার নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপভোক্তার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বসবে নয়া শিবির। সেবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সুবিধাভোগীর সংখ্যা দ্রুতই ২ কোটির গণ্ডি পার করবে বলেই মনে করছে রাজ্য প্রশাসন।
৬০ বছর বয়স হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধাভোগীরা বার্ধক্য ভাতা পাবেন। তখন মিলবে ১০০০ টাকা করে।