এখনও মেয়র হিসাবে শপথ নেননি। শোভন চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন মেয়রের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মেয়র হিসাবে ফিরহাদ হাকিম যে চেষ্টার ত্রুটি রাখবেন না তা শুক্রবার সকাল থেকেই বোঝাতে চাইলেন তিনি।
সকাল থেকেই বাড়িতে শুভানুধ্যায়ীদের ভিড়। তারই মধ্যে তিনি শহরের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বৈঠক করলেন। শহরের আগুন সমস্যা নিয়ে ডিজি ফায়ার জগমোহনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও সেরে নিলেন। বর্তমান মহানাগরিককে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। অন্যদিকে কলকাতার উন্নয়নে প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পরামর্শ যে খুব জরুরি, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন: ছোট লালবাড়ির দায়িত্বে ‘হাকিম সাহেব’, সহকারী অতীন
শুক্রবার সাত সকালেই চেতলার বাড়িতে হাজির হয়ে যান প্রাক্তন মেয়রের স্ত্রী। রত্নাদেবীর বক্তব্য, শোভনবাবুর "অসম্পূর্ণ কাজ" শেষ করবেন নতুন মেয়র। এমনকী ফিরহাদ হাকিম যদি ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী হন তাহলে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে জানান। ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করবেন। তবে শোভন যে কলকাতা শহরের জন্য অনেক উন্নয়নের কাজ করেছেন তাও বলতে ছাড়েননি রত্নাদেবী। এদিন ফিরহাদের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া এবং পুর কমিশনার খলিল আহমেদও।
দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেন ফিরহাদ। এক গাড়িতে বসে দুজনে যাদবপুর ও সংলগ্ন এলাকার পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে আলোচনাও করেন। যেহেতু দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই এলাকার জলের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন, এদিনই বৈঠক করেছেন ফিরহাদ, আলোচনা করেছেন সুব্রতবাবুর সঙ্গে।
এদিকে মেয়রের সঙ্গে এদিন বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন ডিজি ফায়ার জগমোহন। শহরের গলিঘুঁজিতে আগুন লাগলে কী সমস্যা, দমকলের কী ধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে, এসব নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে দুজনের মধ্যে।
মেয়র হিসাবে নাম ঘোষণার পর এদিন একেবারে স্বকীয় মেজাজে ছিলেন ফিরহাদ। নেত্রীর নির্দেশে নতুনভাবে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। একদিনও সময় নষ্ট করতে চাননি তিনি। ফিরহাদ বলেন, "যাদবপুর ও টালিগঞ্জ এলাকায় অনেক জায়গায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে চাই। সেই পরিকল্পনা করছিলাম। আগামী গ্রীষ্মের আগে সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, জলের সমস্যা মেটাতে। ঘনবসতি এলাকায় কীভাবে আগুনের মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে ডিজি ফায়ারের সঙ্গেও বৈঠকে কথা হয়েছে।"
নতুন মেয়র আরও জানান, কলকাতার দূষণ নিয়ন্ত্রনে আরও বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সচেতনতা খুব জরুরি। কলকাতাকে "গ্রিন ও ক্লিন সিটি" করতে হবে।