Advertisment

বায়ুদূষণ মোকাবিলায় ব্যর্থ বাংলাকে ৫ কোটির জরিমানা গ্রিন ট্রাইবুনালের

২০১৬ সালে ট্রাইবুনাল এক্সপার্ট কমিটির পক্ষ থেকে সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পরিবেশ দূষণের প্রতিকার করা নিয়ে। যানজট এড়ানোর জন্য বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহৃত ১৫ বছরের পুরোনো যান বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল এনজিটি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছবি-ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বায়ুদূষণ রুখতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (এনজিটি)-এর ২ বছর আগের জারি করা নিয়মাবলী লঙ্ঘন করেছে কলকাতা এবং হাওড়া। এই কারণ দেখিয়ে এনজিটি-র পক্ষ থেকে রাজ্যের ওপর ৫ কোটি টাকার জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisment

বিচারপতি এসপি ওয়াঙ্গদি, আদর্শ গোয়েল এবং অ-বিচারবিভাগীয় সদস্য নাগিন নন্দাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। বেঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এনজিটি আইনের ২০ নম্বর ধারায় জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে। দু'সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এ জরিমানা জমা দিতে হবে। জরিমানা জমা দিতে দেরি হলে প্রতি এক মাসের জন্য এক কোটি টাকা বেড়ে যাবে। ২০১৯-এর ৮ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে আদালতে তলব করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, বায়ুদূষণের শীর্ষে কলকাতা, কীভাবে বাঁচবেন শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে?

২০১৬ সালে ট্রাইবুনাল এক্সপার্ট কমিটির পক্ষ থেকে সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পরিবেশ দূষণের প্রতিকার করা নিয়ে। যানজট এড়ানোর জন্য বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহৃত ১৫ বছরের পুরোনো যান বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল এনজিটি। এছাড়া রাস্তার ওপর খোলাখুলি আবর্জনা পোড়ানো বন্ধ করা, অটো এমিশন টেস্টিং সেন্টারের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছিল এনজিটি।

"আমরা একটা গ্যাস চেম্বারে বসবাস করেছি। এই শহরে পরিবহণ ব্যবস্থা এমনই, যা বায়ুদূষণের পরিমাণকে ক্রমশই বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া এই রাজ্যে পরিবহণ এবং পরিবেশ, দুটি দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন একই মন্ত্রী, সেখানে স্বার্থের আঘাত হবেই। রাজ্যের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অথচ কলকাতার দূষণের মাত্রা কিন্তু দিল্লিকেও ছাপিয়ে গেছে", ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।

Read the full story in English

Pollution
Advertisment