Bengaluru Blast: এবার বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের (Bengaluru Blast) সঙ্গে নাম জড়াল বাংলার। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ কাণ্ডে দুই সন্দেহভাজনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করেছে NIA। বিভিন্ন সূত্র মারফত গত কয়েকদিন ধরে খবর পৌঁছেছিল তদন্তকাীদের কাছে। শেষমেশ অতর্কিতে অভিযান চালিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে NIA গ্রেফতার করেছে। দু'জনকে ধরে দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল NIA-এর তরফে।
গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণ (IED Blast) ঘটে। সেই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন জখম হয়েছিলেন। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) দেখে এক সন্দেহভাজনকে আগেই চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। তবে ঘটনায় যুক্ত বাকি দু'জন পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে আসে বলে জানা যায়।
NIA ওই দুই অভিযুক্তের সন্ধান দিতে পারলে মোটা অঙ্কের পুরষ্কার পর্যন্ত ঘোষণা করে। একইসঙ্গে তাদের খোঁজে বিভিন্ন সোর্স মারফত তল্লাশি চালাতে থাকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। শেষমেশ কাঁথিতে দুই অভিযুক্তের গোপন আস্তানার খোঁজ পায় NIA। সেখানে পরিচয় গোপন করে ওই দু'জন থাকছিল বলে জানতে পারে তদন্ত সংস্থা। সেখান থেকেই ওই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে NIA। বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই দু'জন সেখানে ছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্ত সংস্থা। ধৃতদের নাম, মুসাভির হোসেন সাজিব ও আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা। এই দু'জনে মধ্যে একদন বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড ছিল বলে দাবি NIA-র।
এদিকে, জঙ্গি ধরা পড়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এদিন বলেন, "এটাই এগিয়ে বাংলার মডেল। আগে আমরা শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার, তৈরি করতাম, পরে শ্রমিক সাপ্লাই করতাম, এখন জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড সাপ্লাই করি আমরা। এবার বোঝা গেল কেন এনআইএ-র উপর হামলা হল। মুখ্যমন্ত্রীই চাইছেন, গোটা দেশে বোমা বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড সরবরারহ হোক বাংলা থেকে।"
অন্যদিকে সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "এজেন্সির জন্য যেমন এটা কৃতিত্বের তেমনই বাংলার প্রশাসনের জন্য এটা লজ্জার। বাংলার পুলিশ প্রশাসন কোনও কাজ করে না। তাদের কাজ মমতা ও তাঁর পরিবারকে রক্ষা করা। এই কারণেই অপরাধীরা বাংলাকে স্বর্গোদ্যান মনে করে।"