দত্তপুকুর বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। ঘটনার পর থেকেই বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ এক জোটে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। আদালতে মামলাও হয়েছে। এরই মধ্যে দত্তপুকুরের মোষপোলে বেআইনি বাজি কারখানার ধ্বংসস্তূপে পৌঁছন এনআইএর গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন- বীভৎস বিস্ফোরণে নজরে বস্ত্র ব্যবসায়ী জেরাত! দত্তপুকুরকাণ্ডে সাংঘাতিক অভিযোগ
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১.৪০ মিনিট নাগাদ এনআইএ-এর দুই আধিকারিক ঘটনাস্থলে যান। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের কথা বলতে দেখা যায়। তারপর খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন না। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, যে কোনও বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেই একটি নিয়ম রয়েছে, এনআইএ একটা প্রাথমিক তদন্ত করে। তথ্য সংগ্রহ করেন। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে এই তথ্য সংগ্রহ আরও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখনই সরকারিভাবে এনআইএ তদন্তভার হাতে নেয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
আরও পড়ুন- পুলিশ-তৃণমূল বিধায়কের তোলাবাজির কারণেই দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ, মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দুর
এদিন বিজেপি এবং সিপিএম এর পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের জড়িত থাকার প্রমাণ স্পষ্ট। রাজ্য পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলে তাঁরা প্রভাবিত হতে পারেন। নষ্ট করে দেওয়া হতে পারে বিস্ফোরণ কাণ্ডের বহু তথ্য। তাই সিবিআই ও এনআইএ-র য়তো কেন্দ্রীয় বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা জরুরি। শুনানির আগেই এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এনআইএর দল।
আরও পড়ুন- দত্তপুকুরের ইটভাটায় আস্ত ‘গবেষণাগার’! শুধুই সাধারণ বাজি তৈরি? নাকি পেছনে সাংঘাতিক উদ্দেশ্য?
মূলত কী ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য বাজি কারখানায় মজুত ছিল তা খতিয়ে দেখতে এনআইএ দোন্দাদের আগে সোমবার সকালেই রাজ্য পুলিশের ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে।