জেরার পর জেরা। রবিবার গোটা দিন মুর্শিদাবাদ থেকে আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃত ছয় জন জেরা চালায় এনআইএ গোয়েন্দারা। এই জেরা পর্বেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। কীভাবে, কোথায় কোথায় বাংলায় জাল বিছিয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী মূলত তা জানতেই চলেই জেরা। বিশেষ আদালতে রবিবার ধৃতদের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনআইএ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করে। জানা গিয়েছে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে এদের আরও জেরা করা হবে।
জানা গিয়েছে, ধৃতদের একজন স্বাকীর করেছে যে, তাদের লক্ষ্য ছিল বেকার যুবকরা। এদের ব্রেনওয়াশ করেই সংগঠনেক কাজে ব্যবহার করা হত।
এনআইএ আগেই জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। রাজধানী সহ দেশের নান জায়গায় নাশকতা চালানোই ছিল তাদের লক্ষ্য। এই গ্রেফতারির ফলে দেশে জঙ্গি নাশকতা এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার।
তদন্তে উঠে আসছে যে, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও বীরভূমের পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে নজর ছিল জঙ্গি গোষ্ঠীর। জানা গিয়েছে, আল কায়দা নাশকতামূলক ক্রিয়াকলাপ চালাতে যে আর্থিক মদত দিত রাজ্যের জঙ্গিদের তা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ ঘুরে কেরল ও মুর্শিদাবাদের জঙ্গি নেতাদের হাতে পৌঁছত। তারই সূত্র ধরে সন্ধান চলছে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কয়েকটি হাওয়ালা চক্রের। এই আর্থিক মদতের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাত রয়েছে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।
এদিকে আল কায়দা জঙ্গি আবু সুফিয়ানের রানিনগরের বাড়িতে হানা দিয়ে হদিশ মিলেছে সুড়ঙ্গের। এতে বোমা মজুত রাখা হত বলে জানা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন