১১ বছরের পুরনো মামলায় ছত্রধর মাহাতোকে হেফাজতে নিতে চাইল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। ২০০৯ সালের ১৪ জুন লালগড়ের ধরমপুর গ্রামে খুন হন সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো। সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তৎকালীন জনসাধারণের কমিটির নেতা ও বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য ছত্রধর জড়িত বলে অভিযোগ। তবে, জ্বর হওয়ার কারণে শুক্রবার এজলাসে হাজির ছিলেন না ছত্তধর মাহাতো। তাই বিশেষ আদালতের বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস এই মামলার শুনানি আগামী সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন। ওইদিন ছত্রধরকে ফের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় ৩৭ জন আসামী ছিলেন। এখন ২৭ জন জীবিত। ১১ বছর পর ফেব্রুয়ারি মাসে জেল থেকে ছাড়ে পেয়ে তৃণমূলে যোগ দেন ছত্রধর মাহাতো। জঙ্গলমহলের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে তাঁকে সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য করে রাজ্যের শাসক দল। এরপরই এই মামলায় অগাস্টের শেষ সপ্তাহে পরপর দু’দিন ছত্রধরকে ঝাড়গ্রামের শালবনিতে কোবরা ক্যাম্পে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ। এবার তাঁকে হেফাজতে নিতে আবদন জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিপিএম নেচা প্রবীর মাহাতো খুনের মামলায় ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ছদ্মবেশে পুলিশ ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। ২০১২ সালের মে মাসে থচ্রধরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর চার সপ্তাহের মধ্যেই আদালত ছত্রধর মাহাতোকে রাজনৈতিক বন্দির তকমা দেয়।
সিপিএম নেতা খুনের পাশাপাশি ২০০৯ সালের অক্টোবরে দিল্লি-ভূবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনা নিয়েও এনআইএ ছত্রধরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
দলের রাজ্য কমিটির সদস্যকে হেফাজতে চেয়ে এনআইএ-এর আবেদনকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন