Enforcement Directoret: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল জাতীয় লোকপাল। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া এক্স (আগে যা টুইটার নামে পরিচিত ছিল)-এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
Advertisment
लोकपाल ने आज मेरे कम्प्लेन पर आरोपी सांसद महुआ जी के राष्ट्रीय सुरक्षा को गिरवी रखकर भ्रष्टाचार करने पर CBI inquiry का आदेश दिया
তবে, তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে বিশেষ ঘাবড়াচ্ছেন না ডাকাবুকো তৃণমূল সাংসদ। নিজের অবস্থানে অনড় থেকে কৃষ্ণনগরের এই সাংসদ বলেছেন, ‘আগে আদানিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো নিয়ে সিবিআই তদন্ত করুক। তারপর না-হয়, আমার জুতোর সংখ্যা গুনতে চাইলে, গুনবে!' শুধু একথা বলাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। সেখানে লিখেছেন, গণমাধ্যম আমার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছিল। আমার জবাব হল, 'সিবিআইকে আগে আদানিদের ১৩,০০০ কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে। কীভাবে চিনা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এফপিআই মালিকানাধীন আদানির সংস্থা ভারতের বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলোকে কিনছে আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাতে ছাড়পত্র দিচ্ছে, সেটাই জাতীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় ইস্যু। তারপর না-হয়, সিবিআই এসে আমার জুতো গুনুক।'
For media calling me- my answer: 1. CBI needs to first file FIR on ₹13,000 crore Adani coal scam 2. National security issue is how dodgy FPI owned (inc Chinese & UAE ) Adani firms buying Indian ports & airports with @HMOIndia clearance
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে টাকা নিয়ে তিনি সংসদে প্রশ্ন করেছেন। আর, তারপরই সংসদে নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। এই সবকিছু তিনি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য। এই অভিযোগে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়া মৈত্রকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছেন শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানি। এর পাশাপাশি, মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। জয় হলফনামা দিয়ে দাবি করেছেন, মহুয়া মৈত্রের সংসদের লগ ইন আইডি জেনে নিয়ে তিনি তাতে প্রশ্ন পোস্ট করতেন।
ইতিমধ্যে এই সব অভিযোগের জেরে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে লোকসভার এথিক্স কমিটিতে শুনানি হয়েছে। মহুয়া মৈত্র গত ২ নভেম্বরের শুনানিতে বিজেপি সাংসদ বিনোদকুমার সোনকারের বিরুদ্ধে নোংরা এবং ব্যক্তিগত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার অভিযোগ করেছেন। সেই ইস্যুতে বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে ক্ষোভে ওয়াক আউটও করেছেন। ফের ৯ নভেম্বর শুনানি আছে। তার আগেই অবশ্য কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল লোকপাল।