ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। শনিবার কোচবিহারের দিনহাটার বুড়িরহাটে তাঁর কনভয়ে হামলার পিছনে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে তোলপাড় ফেলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। 'কালো পতাকা দেখানোর নামে পাথর বোমা-বন্দুক নিয়ে এসেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে।' শনিবার দিনহাটার বুড়িরহাটে অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা হয়। শাসকদল তৃণমূলের মদতেই ওই হামলার অভিযোগ বিজেপির। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা গেরুয়া দলকেই নিশানা করেছে জোড়াফুল।
এবার মারাত্মক অভিযোগ আনলেন নিশীত প্রামাণিক। তাঁর কনভয়ে হামলা নিয়ে শনিবারই তিনি মুখ খুলেছিলেন। রবিবার আরও এক ধাপ এগিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কনভয়ে হামলার ছবি তুলে ধরে তৃণমূলকে তুলোধনা নিশীথের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যারপরনাই নিশানার মুখে পড়েছে পুলিশও। এদিন তিনি বলেন, 'পাথর-বোমা-বন্দুক নিয়ে কালো পতাকা দেখাচ্ছিল। পুলিশ চাইলেই ওদের আটকাতে পারত। তা না করে আমার কনভয় আটকে দেয় পুলিশ। তারপর তৃণমূল পাথর, বোমা ছোড়ে। গুলিও চালায়।'
আরও পড়ুন- শাহের ডেপুটি নিশীথের কনভয়ে হামলা, গ্রেফতার ১৮, আজ বেনজির প্রতিবাদে BJP
মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে বিঁধে খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে এদিন তিনি আরও বলেন, 'তিন দিক থেকে ঘেরাও করে আক্রমণ চালায়। পুলিশই গাড়িতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফেলে। গাড়ির দরজায় গুলির দাগ রয়েছে। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। ভাবতে হচ্ছে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী আসলে কে? একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এভাবে বাধা দেওয়ার কারণ কি? পুলিশের ভূমিকা জরুরি অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।'
আরও পড়ুন- পাহাড়ের কোলে ঘুমিয়ে ছোট্ট গ্রাম, উত্তরবঙ্গের এপ্রান্তের অসাধারণ শোভা ভাষায় প্রকাশ কঠিন!
এদিন অমিত শাহের ডেপুটির নিশানায় ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বাড়ি ঘেরাওয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর কথা অনুযায়ী তাঁর অনুগামীরা আমার বাড়ি ঘেরাও করতে আসেন। মঞ্চ বেঁধে উদয়ন গুহ-সহ তৃণমূল নেতারা উসকানি দিয়েছেন। ওই মঞ্চ থেকেই আমাকে আক্রমণের কথা বহলা হয়।'
এদিন রাজবংশী আবেগ উসকেও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন নিশীথ। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'উত্তরবঙ্গের সব জায়গায় তৃণমূল প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। একজন রাজবংশী ছেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে বলেই কি প্রতিশোধের আগুন? পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রাণে মারার ইচ্ছা থাকলে স্থান-কাল জানিয়ে দিক তৃণমূল।'
আরও পড়ুন- অনুব্রতর জায়গা পূরণ! দখলদারিতে কে এক নম্বর?