অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে এনে শোরগোল ফেলে দিলেন গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। গরু পাচার মামালায় বারবার তলব করায় ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গলকে খুনের ছক কষেছিল খোদ অনুব্রত মণ্ডলই, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন একদা গুসকরার তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। বীরভূম থেকে মুড়ির টিনে ভরে ২ হাজারের নোটের বাণ্ডিল পাঠানো হতো কলকাতায়, এমনও অভিযোগ নিত্যানন্দবাবুর।
গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে। এবার কেষ্ট মণ্ডলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। অনুব্রতর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গলকে বারবার সিবিআই তলব করায় তাঁকে খুনের ছক কষেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনই অভিযোগ বর্তমানে বিজেপির এক সাধারণ কর্মী নিত্যানন্দবাবুর।
তিনি বলেন, ''সায়গলকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল কেষ্টর। সায়গলই জানে কলকাতায় কার কাছে টাকা যেত। মুড়ির টিনে ২ হাজার টাকার বাণ্ডিল ভরে পাঠানো হতো। সায়গল শুধু ওঁর দেহরক্ষী ছিল না ওঁর ব্যক্তিগত সচিবও ছিল। অনুব্রত সায়গলকে খুনের চক্রান্ত করেছিল।''
আরও পড়ুন- আয়ের উৎস কী? কোথায়-কোথায় জমি-বাড়ি-ফ্ল্যাট? CBI জেরায় নাস্তানাবুদ কেষ্ট
তিনি আরও বলেন, ''আমি ২০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলাম অনুব্রতকে। স্ত্রীর ক্যানসার হয়েছে বলে টাকা ধার নিয়েছিল। আমি টাকা চাইলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করায়। সায়গলই আমার হাত থেকে টাকা নিয়ে অনুব্রতকে দেয়। বারবার যখন সায়গলকে সিবিআই ডাকছিল, তখনই ওকে মারার চক্রান্ত করে কেষ্ট।''
গত কয়েক বছর ধরে অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের পাশাপাশি বর্ধমানের একাধিক এলাকা থেকে 'তোলা' আদায় করেছেন বলে অভিযোগ নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ''গোটা বীরভূম থেকে টাকা তুলেছে। সব পঞ্চায়েত থেকে টাকা তুলেছে। আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, ৬টা পুরসভা থেকে টাকা তুলত না? চুরির টাকার ভাগ নিত অনুব্রত। টাকা না দিলে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে। এখন আমি বিজেপিতে সাধারণ কর্মী হিসেবে আছি। ধারাবাহিকভাবে তৃণমূল করে গিয়েছিলাম। একসময় না খেতে পাওয়া অনুব্রতকে দেখেছি। অনুব্রতকে মাগুর মাছ কাটতেও দেখেছি। ওর হাহাকার দেখেছি। তখন আমরাই ওকে সাহায্য করেছিলাম। তবে ওর যত না দোষ তার চেয়েও বেশি দোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।''