Kolkata: করোনা সংক্রমণের বিচারে দেশে চতুর্থ বাংলা। কলকাতায় আক্রান্তের হার ১২%-এর উপরে। এই পরিবেশে আন্তর্জাতিক বিমান নিয়ন্ত্রণে বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। ব্রিটেন ফেরত কোনও বিমান আপাতত কলকাতা বিমানবন্দরে নামবে না। সোমবার অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম কার্যকর করছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রকে চিঠিতে এই পদক্ষেপের কথা জানান রাজ্যের মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকা। তাঁর চিঠিতে উল্লেখ, ‘ওমিক্রনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় নাম রয়েছে ব্রিটেনের। তাই এই সিদ্ধান্ত।‘
পাশাপাশি নবান্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওমিক্রনে ঝুঁকিপূর্ণ নয়, এমন দেশ থেকে শহরে ঢুকলে নিজের খরচেই করতে হবে কোভিড পরীক্ষা। পাশাপাশি বিমান সংস্থাগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে নমুনা পরীক্ষার। অন্তত ১০% যাত্রীর আরটি-পিসিআর আর বাকিদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাধ্যমূলক করবে বিমান সংস্থাগুলোকে।
এদিকে, ক্রমশ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। করোনা সংক্রমণের নিরিখে দেশে চতুর্থ স্থানে রাজ্য। দেশের ৮টি জেলার মধ্যে কলকাতায় পজিটিভিটি রেট ৮.৫ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ১.৪৫ থেকে বেড়ে ৩.১ শতাংশ হয়েছে। বাংলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বাস্থ্যসচিব লব আগরওয়াল।
এদিন তিনি বলেন, প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা নিয়ে কথা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে পজিটিভিটি রেট অনেকটাই বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। কেরলেও পজিটিভিটি রেট অনেকটাই বেড়েছে। সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গুজরাট, দিল্লিতে। অবিলম্বে করোনা বিধি মানতে কড়াকড়ি প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গে-সহ ১০টি রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে।
ওমিক্রন উদ্বেগের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনের পর্যবেক্ষণে উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই রাজ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের। দিল্লির মতো কলকাতাতেও গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত মিলেছে। তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক ৩০-৩৫ হাজার সংক্রমণের পূর্বাভাস স্বাস্থ্য দফতরের। আবার মার্চ-এপ্রিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন