CM Mamata: বাংলায় শিল্প সম্ভাবনা রয়েছে প্রচুর। বারংবার দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই উপলক্ষে নতুন বছরের শুরুতেই বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু রাজ্যের উদ্যোগে বাণিজ্যে লক্ষ্মী বসত করালেও জমি অধিগ্রহণ করবে না নবান্ন। মঙ্গলবার ফের একবার অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জমি অধিগ্রহণবিমুখ। রাজ্যের ল্যান্ডব্যাঙ্ক থেকেই বিনিয়োগকারীদের জমি বাছতে আবেদন করেছেন তিনি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেও একই নীতি মমতা সরকারের।
এদিন বিধানসভায় দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বক্তব্যেই উঠে এসেছে দেউচা-পাচামির শিল্প বিনিয়োগ প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেউচা-পাচামি প্রকল্পে আমার সরকার কোনও জেদাজেদিতে যাবে না। বরং সকলের আস্থা অর্জন করেই বিনিয়োগ হবে। রাজ্য সরকার পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তারপর কারও কোনও দাবিদাওয়া থাকলে বসে আলোচনা হবে। এই শিল্প হলে এখানে বিদ্যুতের দাম অনেকটাই কমে যাবে। রাজ্যের মানুষের সুবিধা হবে। এখানে কোনও ইগোর ব্যাপার নেই।‘
এদিকে, উপনির্বাচনে জয়ী চার বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণের শুরুতেই বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি। পাশাপাশি শপথ অনুষ্ঠানে হাজির না থাকার জন্য নাম না করে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিধায়কদের দিকেও। বলেন, ‘গণদেবতাই বাংলার অহঙ্কার। মানুষের রায় অহঙ্কার নয়, আশীর্বাদ। নতুন চারজন আজ শপথ নিলেন বিধায়ক পদে। সকলের উচিত ছিল, তাঁদের সামনে এসে অভিনন্দন জানানো। কিন্তু কাদেরই বা বলব? অনেকেই তো নেই। বিরোধীরা বিধানসভাকে বিধানসভা বলে মনেই করেন না। যখন ইচ্ছা হয় তখন আসেন, যখন ইচ্ছা হয় না তখন আসেন না। এতে আমার মর্মবেদনা হয়, তবে খারাপ লাগে না।’
ভাষণের একেবারে শেষে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘বিরোধীদের বলব শুভ বিজয়া, শুভ দীপাবলি, শুভ ছট পুজো এবং শুভ অহঙ্কার।’পাল্টা, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে দাবি তাঁর। রাজ্য বিজেপি সভাপতির কথায়, ‘নাস্তিক বাম সরকারও যা করেনি তাই করেছে মমতা সরকার। উৎসবের মরসুমে বিধানসভা অধিবেশন বসিয়েছেন। আমরা মানুষের সঙ্গে রয়েছি। তাই অধিবেশনে যাবো না। উনি আসলে কোনও রীতি-নীতির তোয়াক্কা করেন না। একটা স্বৈরাচারী মানসিকতা নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন