বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশই বহাল রাখলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাঁর নির্দেশ, কোনওভাবেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধরনা আন্দোলন করা যাবে না। উপাচার্যের বাসভবনও ঘেরাও চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে হবে পুলিশকেই। এর অন্যথা হলে তা আদালত আবমাননার সামিল বলে গন্য করা হবে।
Advertisment
গত কয়েক মাসে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে বিশ্বভারতী। উপাচার্য বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেছিয়েছেন পড়ুয়ারা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে দীর্ঘ ২০ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলেছে। তাঁদের দাবি ছিল, বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদ থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ করতে হবে। পাল্টা জোর করে বাড়ি থেকে বেরনোর চেষ্টার উপাচার্যের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে আনদোলনকারীদের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। উপাচার্যও ছাত্রদের দেখে গুলি চালাতে বলেন বলে অভিযোগ। বিচারপতি মান্থার নির্দেশের পরও কীভাবে উপাচার্যের বাড়ি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরনা আন্দোলন চললো তা নিয়েই এ দিন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পুলিশকে ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি।
চলতি মাসে বিশ্বভারতীতে ধর্না শুরু ও উপাচার্য ঘেরাওয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উপাচার্য বিদ্যাৎ চক্রবর্তী। পুলিশ আদালতের রায় অমান্য করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। উপাচার্যের আইনজীবী আদালতে জানান, গন্ডগোলের সময় কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছাড়া কোনও পুলিশ আধিকারিক ছিলেন না। পাল্টা আদালতে পুলিশের দাবি, ১৩ জন পুলিশ সেই সময় ছিলেন। এরপরই বিরক্ত হয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, '১৩ জন না, ১৩০০ জন সেটা বড় কথা নয়, প্রশ্ন একটাই- কেন আদালতের নির্দেশ অমান্য হচ্ছে?' তারপরই হাইকোর্টের আগের নির্দেশ পুনর্বহাল করেন তিনি।