সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু তার আগে পদ্ম নেতারাদের ডিসেম্বর হুঙ্কার ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা। কী হতে পারে ডিসেম্বরে? সোমবার এই প্রশ্নের জবাবেই ফের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়েই শীতের বঙ্গ রাজনীতিতে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
কী বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?
এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে সোমবার আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পুলিশ বেষ্টিত হয়ে পার্থ গাড়ি থেকে নেমে আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘ডিসেম্বর’ হুঙ্কার প্রসঙ্গে। জবাবে পার্থ সটান বলেন, 'তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না, কেউ পারবে না।'
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর জেলযাত্রার পরপরই তাঁকে দলের মহাসচিব সহ নানা পদ থেকে সরানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকেও সরিয়ে দিয়েছিলেন। দল যে তাঁরর পাশে নেই তা একাধিকবার তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছে। তবুও জোড়া-ফুলের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়ে একাধিক বার্তা দিয়েছেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে বলেছিলেন যে, 'পঞ্চায়েত' ভোটে তৃণমূলই জিতবে।' আর এবার তো সাফ বলেদলেন যে, বিরোধী দল ডেটলাইন বেঁধে দিলেও- 'তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।'
'ডিসেম্বর মাসের ১২, ১৪ এবং ২১ তারিখ রাজ্যে ধামাকা হবে। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।' বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কী হবে এ তারিখগুলিতে? খোলসা করেননি গেরুয়া শিবিরের কোনও বড় নেতাই। যদিও শুভেন্দুর দেওয়া তারিখ ঘিরেই নানা জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে। তবে শুভেন্দুর হুঙ্কারকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। এই প্রেক্ষিতে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যবাহী।
আরও পড়ুন- ডেডলাইনের ফার্স্ট ডে-তে হাজরায় সভা শুভেন্দুর, মমতার খাসতালুকে কী বোমা ফাটাবেন?
এদিকে পার্থর এই মন্তব্যেকেই ঢাল করছে বিরোধী দল বিজেপি ও সিপিআইএম। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'আবার প্রমাণ হল পার্ছ মানেই তৃণমূল, তৃণমূল মানেই পার্থ। ওরা যে দুর্নীতিবাজদের সঙ্গেই রয়েছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেল।' সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, 'দুর্নীতি, তৃণমূল ও পার্থ, অনুব্রত মণ্ডলরা যে সমার্থক তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল।
পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'তৃণমূলের কেউ যে ক্ষতি করতে পারবে না সেটা সবার জানা। তাই কে কী বলছেন সেটা রাজনৈতিকভাবে খুব তাৎপর্যবাহী নয়।'