Advertisment

Premium: নেই কোনও অভিযোগ, গাছতলার ক্লাসেই খুশি খুদেরা, ছাত্রস্বার্থ বিপন্ন দেখেও চোখ বন্ধ প্রশাসনের

পড়ুয়া আছে,শিক্ষকও আছে। নেই শুধু পড়ুয়াদের জন্যে নিরাপদ শ্রেণি কক্ষ। তাই গাছ তলাই এখন ভরসা পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের খুন্না বাণেশ্বরপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের। শ্রেণি কক্ষের অভাবে বছরের পর বছর ধরে দুটি ক্লাসের খুদে পড়ুয়াদের এভাবেই দুর্দশার মধ্যে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

IE Bangla Web Desk এবং Sayan Sarkar
New Update
No permanent Class Room, Bhatar Primary School, গাছতলার শিক্ষা, অবহেলার শিক্ষা, বিপন্ন শৈশব, চোখ বন্ধ প্রশাসনের, প্রাইমারি শিক্ষা, তৃণমূল, প্রাথমিক শিক্ষা, West bengal primary Education

গাছতলার শিক্ষা

Bhatar Primary School: পড়ুয়া আছে, শিক্ষকও আছে। নেই শুধু পড়ুয়াদের জন্যে নিরাপদ শ্রেণী কক্ষ। তাই গাছ তলাই এখন ভরসা পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের খুন্না বাণেশ্বরপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের। শ্রেণী কক্ষের অভাবে বছরের পর বছর ধরে দুটি ক্লাসের খুদে পড়ুয়াদের এভাবেই দুর্দশার মধ্যে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। অথচ স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তা,সবাই সব জেনেও সুরাহার কোন ব্যবস্থা আজ অবধি করে উঠতে পারেন নি।

Advertisment

খুন্না ও বাণেশ্বরপুর দুটি পাশাপাশি গ্রাম। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ভাতারের খুন্না বাণেশ্বরপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।দুটি গ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় আগে এই স্কুলটি ছিল। পরবর্তীকালে দুটি গ্রামেই জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। এরপর বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা জনৈক চন্দ্রনাথ রায় বাণেশ্বরপুর গ্রামের কাছে বেশকিছুটা জমি দান করেন। গ্রামবাসীরা নিজেরা চাঁদা তুলে ১৯৬৭ সাল নাগাদ ওই জমিতে স্কুলের ভবন নির্মাণ করেন তখন থেকেই বাণেশ্বরপুর গ্রামে স্কুলটি স্থানান্তর হয়। তারপরে খুন্না গ্রামেও পৃথক স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

বানেশ্বরপুর গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বর্তমানে ১২৫ জন। শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে রয়েছেন ৬ জন। তাদের মধ্যে একজন পার্শ্বশিক্ষিকা। খুন্না বাণেশ্বরপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ জানে আলম বলেন, "পুরনো ভবনে ৬ টি ঘর রয়েছে।বেশ কয়েক বছর স্কলের ঘরগুলি ভেঙেচুড়ে গিয়েছে। বিপদজনক অবস্থা পৌছেচে ঘর গুলি। সেজন্য স্কুলের পুরনো ভবন আর ব্যবহার করা হয় না। ১৯৯৫ সালে স্কুলে দুটি শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ হয়েছিল। সেই দুটি শ্রেণীকক্ষ এখন ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে শিশুশ্রেণী ও প্রথম শ্রেণীকে একটি ঘরে বসানো হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদের বসানো হয় আর একটি ঘরে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর মিলে ৩৫ জন পড়ুয়ার ক্লাস নেওয়া হয় গাছতলায়। বৃষ্টি হলে মিড ডে মিলের চাতালে গিয়ে উঠতে হয়।"

আরও পড়ুন : < Shatabdi Express: পয়সা উসুল! এমন ট্রেন জার্নি আগে করেন নি, রোমাঞ্চের সঙ্গে উপভোগ করুন পাহাড়ের সৌন্দর্য্য! >

স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুবিনয় মোদক বলেন," পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে সাতবছর আগেই পুরানো ভবন বাতিল করা হয়েছে।গত কয়েকবছর ধরেই স্কুলের পক্ষ থেকে এনিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছিল।জেলা শিক্ষা বিভাগে অনেকবার চিঠি করা হয়েছে।কিন্তু এখনও স্কুলের নতুন ভবনের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। আমরা চাই পুরনো ভাঙাচোরা বিপদজনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটি ভেঙে সেখানে নতুন করে স্কুলের ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হোক।" এবিষয়ে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, ’সমস্যার বিষয়টি গোচরে এসেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

burdwan Primary School
Advertisment