প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত নয়। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব স্তিমিত হতেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। তারপরই তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ কোটি মানুষ। ১৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বাঁচানো গিয়েছে।
Advertisment
এদিন সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয়, কেন্দ্রের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন কি না। তার উত্তরে মমতা বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে সঙ্ঘাতকে গুরুত্ব দেব না। দুর্যোগের সময় সবাই মিলে কাজ করতে হয়। তাই করছি। সঙ্ঘাতকে গুরুত্ব দেব না। একটা ফোন করা ফর্ম্যালিটির ব্যাপার। তবে এসব গুরুত্ব দিতে চাই না। কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে। পরেও করব।’’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুক্রবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি পরিদর্শনে যাবেন তিনি। তিনি কাল, বৃহস্পতিবারই যেতেন, কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে, কালও বৃষ্টি হবে। তাই তিনি পরশু, শুক্রবার পরিদর্শনে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৩৪টি নদীবাঁধ প্লাবনে ভেঙে গিয়েছে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করছে রাজ্য সরকার। বাঁধ মেরামতিতে কেন্দ্র সাহায্য করে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, "বৃহস্পতিবার আরও বড় বান আসতে পারে সমুদ্রে। কালও বৃষ্টি হতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের আফটার এফেক্টকে অবহেলা করা যাবে না। সন্ধে সাড়ে আটটার পর আবার বান আসতে পারে। তাই ত্রাণ শিবিরে যাঁরা আছেন তাঁরা এখনই বাড়ি ফিরবেন না।"