উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এক দোকানদারের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দত্তপুকুরে। পরে যা গোষ্ঠী সংঘর্ষের রূপ নেয়। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পুলিশ মারফত জানা গিয়েছে, দত্তপুকুর, আমডাঙা ও দেগঙ্গা এলাকায় জারি রয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা।
জানা গিয়েছে, হাটখোলা এলাকায় মেলা চলছিল। সেখানেই দোকান দিয়েছিলেন নরসিংহপুরের বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম। অভিযোগ, আসাদুল এক মহিলা ক্রেতার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন। এরপরই স্থানীয় ক্লাবঘর থেকে আসাদুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। যা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হোন, আহ্বান মোদীর
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পরপরই আসাদুলের পরিবারের লোকেররা মেলার বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায়, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। আসাদুলকে ক্লাবের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বেধরক মারধর করার ফলেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, বেশ কিছুক্ষণ স্থানীয় রাস্তাও অবরোধ করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার এই ঘটনার পরপরই গোটা দত্তপুকুর অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ে। রাত বাড়তেই এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর উপর পাল্টা চড়াও হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। চলে বোমাবাজির ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকছে।' কীভাবে আসাদুলের মৃত্যু হল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Read the full story in English