ফি বারের চেনা ছবিটার দেখা মিলল আজও। মা দুর্গার বিদায়পর্বে ভারত-বাংলাদেশের ভৌগোলিক ভাগ কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ। ইছামতীর বক্ষে সবার মুখে মুখে আজ একটাই সুর ''আসছে বছর আবার হবে।'' বিজয়া দশমীতে ইছামতীতে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনের এই পর্ব বহু বছর ধরে চলে আসছে। ভারত ও বাংলাদেশের দিক থেকে বহু প্রতিমা নিরঞ্জন হয় নদীবক্ষে। দু'দেশের প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে নদীর দু'পাড়ে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়। ভারত এবং বাংলাদেশ দু'দিকেরই নদীর পাড়গুলিতে তিল ধারণের জায়গা নেই।
এবারও ইছামতীতে বেলা ১২টা-৫টা পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন। বিসর্জনের প্রস্তুতিটা শুরু হয়ে গিয়েছিল গতকাল থেকেই। আজ বেলা ১২টার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব। ইছামতী নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন পর্বে সামিল হতে গেলে পুজো কমিটিগুলিতে আগে থেকে প্রশাসনিক অনুমতি নিতে হয়। স্থানীয় পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসন এই অনুমতি দেয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একইভাবে লাগে প্রশাননিক ছাড়পত্র।
আরও পড়ুন- মণ্ডপ-উদ্বোধন, সঙ্গে স্লোগান, ২০২৪-এর আগে বড় মহড়া গেরুয়া শিবিরের
উত্তর ২৪ পরগবনার টাকিতে রাজবাড়ির ঘাট, মুক্তবাবুর ঘাট ও ঘোষবাবুর ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন চলে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার পর থেকেই শুরু নিরঞ্জন। গঙ্গাবক্ষে বিএসএফ-এর বাহিনী বোট নিয়ে টহল দিচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের জলসীমান্ত বরাবর বিএসএফ-এর স্পিড বোট। ইছামতীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সাক্ষী থাকতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ এসে ভিড় জমান।