/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/02/MDoc2b2TkgXp4urQ7ZBN.jpg)
North Sikkim-Tourist rescue:উত্তর সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার অভিযান শুরু।
Sikkim floods-Rescue operation: উত্তর সিকিমে (North Sikkim) বেড়াতে যাওয়ার আগে, সেখানকার অবস্থা এবং আবহাওয়া জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিল সিকিমের পর্যটন দপ্তর। সরাসরি না করলেও, এখনই যাতে উত্তর সিকিমে পর্যটকরা যাতে না বেড়াতে যান, কার্যত সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মূলেই রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বেশ কয়েকটি এলাকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি রয়েছে ধসের জেরে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং রাত হলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা তিস্তা। রবিবার রাতে নতুন করে ত্রাস হয়ে উঠেছিল তিস্তা। সিংতাম তো বটেই, জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল সেবকেও।
এদিকে, আজ লাচুং থেকে চলছে পর্যটক উদ্ধারের কাজ। দীর্ঘপথ হেঁটে তারপর তাঁরা গাড়িতে উঠতে পারছেন। তবে লাচুং থেকে পর্যটক উদ্ধার শুরু হলেও, লাচেন থেকে এই কাজ শুরু করা যায়নি একাধিক রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায়। টানা তিন-চার দিন ধরে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে সিকিম সহ পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য এলাকায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সিকিম-বাংলার লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় সড়কটিকে মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ফের বন্ধ রাখা হচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
জানা গিয়েছে, রাস্তাটির মেরামতির জন্য সোম এবং মঙ্গলবার দুদিনই সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় সড়কটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মেরামতির কাজে যুক্ত থাকায় এনএইচআইডিসিএল, এনএইচপিসি এবং ইরকনের গাড়িকে ছাড় দেওয়া হবে। ছাড় থাকছে জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িগুলির ক্ষেত্রেও।
সিকিম পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির ফলে জলস্ফীতি ঘটেছে তিস্তায়। এর মধ্যে শনিবার প্রবল বর্ষণে কালিম্পংয়ের একাংশে এবং তিস্তার জলচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মেল্লি, লিকুভির সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। এ কারণেই জরুরি মেরামতির প্রয়োজন বলে কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- Deportation: অবৈধভাবে বহাল তবিয়তে ভারতে বাস, হাজার-হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হল
এদিকে গত ২৯ মে রাস্তা থেকে প্রায় এক হাজার ফুট গভীরে তিস্তা নদীর সংযোগকারী লাচেনচু নদীতে পড়ে গিয়েছিল পর্যটকবোঝাই একটি গাড়ি। ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। নিখোঁজ হয়ে পড়েন ৮ জন। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। তার কয়েকদিন আগেও মুন্সিথাংয়ে বড় ধরনের ধস নেমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল লাচেন। আটকে পড়তে হয়েছিল পর্যটকদের। রাত তো বটেই, দিনেও ওই পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা। ফলে বৃহস্পতিবার রাতের দুর্ঘটনা উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ISKCON: 'সোনার অধ্যায়' শুরুর পথে! কলকাতার রাজপথে কোন যুদ্ধবিমানের চাকায় চলবে ইসকনের রথ?
উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার আগে, সেখানকার অবস্থা এবং আবহাওয়া জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিকিমের পর্যটন দপ্তর। সরাসরি না করলেও, এখনই যাতে উত্তর সিকিমে পর্যটকরা বেড়াতে না যান, কার্যত সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মূলে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পাশাপাশি রয়েছে ধসের জেরে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং রাত হলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা তিস্তা। রবিবার রাতে নতুন করে ত্রাস হয়ে উঠেছিল তিস্তা। সিংতাম তো বটেই, জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল সেবকেও।