Abhijit Ganguly's Speech In BJP Rally Siliguri: পদ্ম পতাকা হাতে তোলার পর শিলিগুড়িতে প্রথম জনতার মাঝে ভাষণ দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম ভাষণ, তাও প্রধানমন্ত্রী মোদীর মঞ্চে! শুরু থেকেই পুরোদস্তুর রাজনৈতিক আক্রমণ শানালেন তৃণমূলকে। শাসকদল তৃণমূলকে 'দুর্বৃত্ত দল' বলে আক্রমণ করলেন। রাজ্যের স্বার্থে বঙ্গবাসীকে শপথ নেওয়ার আর্জি জানালেন।
কী বললেন অবিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শনিবারের ভাষণের পুরোটাই ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বললেন, 'আমি সদ্য বিজেপিতে একজন কর্মী হিসাবে যোগ দিয়েছি। কিছু কথা আমার বলার আছে সেই প্রসঙ্গে। এক রাজ্যে বাস করি যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে একটা দল যাদের নাম আমি মুখেও আনতে চাই না। কারণ এই দলটি সম্পূর্ণ দুর্বৃত্ত দ্বারা গঠিত। আমি যখন বিভিন্ন মামলা শুনছিলাম বিচারপতি হিসাবে তখন আমার চোখে ধরা পড়েছিল সে কি ভয়ানক দুর্নীতি। যা ধরিয়ে না দিলে বুঝতে পারবেন না। আজও বহু চাকরিপ্রার্থী যাঁরা অনেক বেশি নম্বর অর্জন করেছেন তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে যাঁরা অনেক কম নম্বর পেয়ে বেশ কিছু টাকা দিয়ে চাকরিটা কিনেছেন তাঁদের। ফলে এই যে দুর্বৃত্তরা নিজেদের পকেটে টাকা ঢুকিয়েছে, নিজেদের দৌরাত্ম্যে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার রাস্তায় হেঁটেছেন। তারপরে আসে খাদ্য দুর্নীতি।' অর্থাৎ স্পষ্ট যে, শিক্ষা-খাদ্য দুর্নীতিই তৃণমূল বিরোধীতায় অন্যতম পুঁজি অভিজিৎবাবুর।
আরও পড়ুন- Sheikh Shahjahan: শেখ শাহজাহানকে হাতে পেয়েও ‘অসন্তুষ্ট’ সিবিআই! মরিয়া হয়ে কী খুঁজছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা?
এরপরই মমতা মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগে জেলযাত্রার বর্ণনা করেন প্রাক্তন বিচারপতি। বলেন, 'এই দুর্বৃত্তদের দলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সবাই জেলে। তৃণমূলকে একটা ভোটও দেবেন না। পত্র পত্রিকা থেকে জনতে পারছি যে, তৃণমূল ভিতর থেকে ভাঙতে শুরু করেছে। কারণ ইডি-সিবিআই দুবৃত্তের দলের নেতাদের ধাওয়া করেছে। দু-একটা ভাল নেতা থাকলেও তারা দল ছাড়ছেন। এলাকায় প্রচার করুন, এই তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। আমাদের তৃণমূলকে সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে দিতে হবে। যাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে আর ওরা দাঁড়াতে না পারে। সামনের নির্বাচনে এই দুষ্কৃতিদের একটা শিক্ষা দিতে হবে। সেই শিক্ষা তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎখাতের শিক্ষা। বাংলার ক্ষমতায় আসীন দুর্বৃত্তদলটিকে বুঝিয়ে দিতে হবে তোমাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তোমরা যে পরিমাণ জালিয়াতি করেছ তার মূল্য তোমাদের চোকাতেই হবে। শপথ নিন, নো ভোট টু তৃণমূল। ৪২ টা লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসকে একটা ভোটও দেবেন না।'
তৃণমূল বিরোধী হাতিয়ার হিসেবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে সর্বসম্মুখে আনছে বিজেপি। এবারের লোকসভায় তাঁর স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তিতেই আপাতত শোকেস করতে চাইছে গেরুয়া ব্রিগেড। সেই ধারা মেনেই এদিন অভিজিতের চাঁচাছোলা তৃণমূল বিরোধীতা বলে মনে করা হচ্ছে।