পঞ্চায়েত ভোটে জেলাওয়াড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সম্পর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা ও পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবারের শুনানিতে কড়া কথায় ফের একবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাড়তি ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে কমিশনকে। আগে সেই নির্দেশ দিলেও ধার্য করা সময়সীমার মধ্যে বাহিনী মোতায়েন করতে পারেনি কমিশন। ফলে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার। শুনানিতে কমিশনকে ফের কড়া কথা শুনিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
শুনানিতে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে অসন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী কমিশনের বিরুদ্ধে নালিশ জানান। তাঁর অভিযোগ ছিল যে, কোন বুথে কত বাহিনী রাখা হবে, এখনও তা স্পষ্ট করেনি কমিশন। তাছাড়া, বাহিনী কোথায় থাকবে, কোথায় তাদের দু’বেলার খাওয়াদাওয়া হবে— সে সব পরিকল্পনার কথা জানানো হয়নি। অভিযোগ শুনেই বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি কমিশনের আইনজীবী কিশোর দত্তকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আপনারা কিছু তো করুন। সময় নষ্ট করবেন না। আমরা তো আর সব কিছুতে নজরদারি করতে পারব না। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় যাবে, কী ভাবে যাবে, কোথায় খাবেন, কোথায় থাকবেন এগুলো তো কমিশনকেই ব্যবস্থা করতে হবে। ৮ জুলাই সকাল বেলাও কি দেখছি, দেখব বলবেন।'
কেন্দ্র, কমিশন ও রাজ্যের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাবের মধ্যেই প্রদান বিচারপতি বলেছেন, 'আপনাদের কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে না আপনারা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার সদিচ্ছা আছে। আমরা কী করব? নির্বাচন কমিশনের দফতরটা সরোজিনী নায়ডু সরণি থেকে হাইকোর্টে নিয়ে চলে আসব কি?'
আরও পড়ুন- ‘কালীঘাটের কাকু’র তাক লাগানো ‘অপকীর্তি’!, কী দাবি ইডি-র?
হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট বলেছে যে, ভয়হীন পরিবেশে ভোট করানোর দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। এতে ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। মানুষের যাতে আস্থা-বর্ধক সব কাজ করতে হবে।