তৃণমূলের সবাই চোর নন। কিছু সৎ নেতাও আছেন। আর তাঁদের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। মঙ্গলবার ফের এমনই দাবি করলেন পদ্মশিবিরের কোবরা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন চুঁচুড়া স্টেশনের কাছে বিদ্যাভবনে প্রাক-পুজো সম্মেলনে দলীয় কর্মিসভায় যোগ দিতে এসে এমনই কথা বললেন মিঠুন। তাঁর সঙ্গে এদিন ছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বেশ কিছুদিন আগে কলকাতায় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিঠুন দাবি করেন, ৩৮ জন তৃণমূলের বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তার মধ্যে ২১ জন সরাসরি তাঁর সঙ্গে। এই বোমা ফাটানোর পর রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। এর মধ্যে শাসকদলের কোনও বিধায়ক শিবির বদল অবশ্য করেননি। এবার প্রাক-পুজো জনসংযোগে কলকাতায় এসে ফের সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের দাবিতে অনড় থাকেন মহাগুরু। বলেন, "আই স্ট্যান্ড বাই মাই ওয়ার্ডস। ব্যাক আপ না থাকলে এসব কথা বলি না।"
এবার মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় সুকান্তর পাশে বসে আবার একই কথা বললেন মিঠুন। তবে আজকের অতিরিক্ত সংযোজন তৃণমূলের সৎ নেতা। বললেন, "আসলে ২১ জন নয়, আমি ৩৮ জনের কথা বলেছি। এ ছাড়াও আরও তৃণমূল বিধায়ক আছেন। যাঁরা সরাসরি দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।"
আরও পড়ুন ২১ তৃণমূল বিধায়কের বিজেপি যোগ: ‘ব্যাক আপ ছাড়া কথা বলি না’, দাবিতে অনড় ‘কোবরা’
এর পর তিনি বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর নন। যাঁরা ভাল তাঁদেরই একটা অংশ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাহলে কি মহারাষ্ট্র মডেল হবে বাংলাতেও? বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ আগেই তুলেছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে মিঠুন বলেছেন, "আমি যে ২১ জনের কথা বলছি, তাঁদের সঙ্গে কোনও টাকার কথা হয়নি। তৃণমূলের সবাই চোর নন। কিন্তু অনেকেরই দমবন্ধ হয়ে আছে।"
শেষে সিনেমার সংলাপের কায়দায় মিঠুন বলেন, না খায়া, না পিয়া, গ্লাস তোড়া চার আনা। এ জন্য অনেকের দম বন্ধ হয়ে আছে। তৃণমূলের নেতাদের বিজেপিতে নিতে আপত্তি আছে গেরুয়া শিবিরের। সেটা নিয়ে মিঠুন বলেছেন, "দল বলে দিয়েছিল তৃণমূল থেকে কাউকে নেব না। নেড়া বেলতলায় একবারই যায়। কিন্তু তাঁদের বুঝেয়েছি, কেউ চুরি করলে সেটা অন্যের ঘাড়ে গিয়ে দোষ পড়ছে। তবে পচা আলু আমরা নেব না। আমি বিশ্বাস করাতে পেরেছি ওঁদের যে যাঁদের নাম আমি নিচ্ছি, তাঁরা এসবের মধ্যে নেই।"
মিঠুনের পাশে বসে সুকান্ত যোগ করেন, "মিঠুনদার কাছে যদি ২১ জনের নাম থাকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ৪১ জনের কম নাম থাকবে না।"