হাওড়াজুড়ে পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের আঁচ। বিক্ষোভের নামে চলছে তাণ্ডব। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা মোতায়েনের দাবি তুলেছেন শুভেন্দু, সৌমিত্ররা। জটিল অবস্থার মধ্যেই ফের হাওড়া নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, কিছু রৈজনতিক দলের মদতেই হাওড়ায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। দাঙ্গার উদ্দেশ্যেই এই উসকানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, 'এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে।'
শনিবার টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, 'আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে।' তাঁর প্রশ্ন, 'পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?'
পয়গম্বর নিয়ে নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালদের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে মুখর দেশ। এ রাজ্যের হাওড়ায় তাঁর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। গত বৃহস্পতিবার প্রায় ১১ ঘন্টা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করেছিল বিক্ষোভকারীরা। ছড়িয়েছিল হিংসার ঘটনা। শুক্রবার জুম্মার নমাজ শেষে সেই হিংসা আরও বাড়ে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া থেকে গাড়ি জ্বালানোর ঘটনা ঘটে।
শনিবারও একই ছবি। নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়ার পাঁচলায়। একটি ক্লাবে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইঁট-পাথর মারা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সলপে মোতায়ের বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন- পাঁচলায় নতুন করে উত্তেজনা, উলুবেড়িয়ায় জারি ১৪৪ ধারা, অগ্নিগর্ভ হাওড়া
শুক্রবারই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রে হাওড়াজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর হবে। অন্যদিকে হাওড়ার উলুবেড়িয়া মহকুমায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। আগামী বুধবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। শান্তি বজায় রাখতে আর্জি জানিয়েছেন ইসলাম ধর্মগুরুরা।
কড়া পদক্ষেপের লক্ষ্যে হাওড়া কমিশনারেট ও গ্রামীণ অংশে একঝাঁক আইপিএস নিয়োগ করেছে প্রশাসন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।