এনআরসি আতঙ্কে ফের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন(৬৫)। বাড়ি জলপাইগুড়ির বাহাদুর অঞ্চলে। অভিযোগ, বহু চেষ্টা করে এন আর সি সংক্রান্ত নথিপত্র যোগার করতে না পেরে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। তিনি মুর্শিয়া ও ভাওয়াইয়া শিল্পী ছিলেন বলে জানালেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী জানান ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মহম্মদ সাহাবুদ্দিন সহ এই নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় গত সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৫ জন এনআরসি আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর ময়নাগুড়ির অন্নদা রায়, ২৪ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির বাসিন্দা শ্যামল রায় ও জলপাইগুড়ি বাহাদুর এলাকার সাবেদ আলী। এরা একই দিনে আত্মঘাতী হন। তারপর ২৩ শে অক্টোবর মাল মহকুমার ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা দেবারু মহম্মদ আত্মহত্য়া করেন। এবার জলপাইগুড়ি বাহাদুর এলাকার মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। এরা সকলেই এনআরসি আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, "এনআরসি আতঙ্কে গতকাল রাতে আত্মহত্য়া করেছেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। বিজেপি এনআরসি করতে চাইছে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেওয়া যাবে না। একটা সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার ও বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। আমরা তার প্রতিরোধ করব।"
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বুধবার টিভি দেখছিলেন সাহাবুদ্দিনবাবু। তখন টিভিতে এনআরসি নিয়ে বক্তব্য় রাখছিলেন অমিত শাহ। তাতেই তিনি ঘাবড়ে যান। এনআরসি হবে শুনে অনেক দিন ধরে নথি যোগারের চেষ্টা করছেন। এনআরসির আতঙ্কে মারা গিয়েছে তিনি। স্থানীয়দের দাবি, এরাজ্য়ে যাতে এনআরআসি না হয়। তাহলে আত্মহত্য়া আরও বাড়বে।