জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে এবার সিনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্যের 'ডক্টরস ফোরম'-এর নেতৃত্বে সাংবাদিক সম্মেলন করে মঙ্গলবার বিকেলে জানানো হয়, আজ ১২ জুন রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ থাকবে। তবে এমার্জেন্সি বিভাগ খোলা রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকাল নটা থেকে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ থাকবে বলে জানান হয়েছে। আউটডোর বন্ধ থাকলে আজ হয়রানির মুখে পড়তে হতে পারে বহু রোগীকে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মর্মে ডাক্তারদের তরফে একাধিক পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেগুলির বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১০ জুন) রাতে নীলরতন সরকার হাসপাতলে ভর্তি করা হয় বছর আশির মহম্মদ শাহিদকে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, এদিন বিকেলের পর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের ডাকাডাকি করলেও তাঁরা সময় মতো আসেন নি। পরিবারের কথায়, চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয় মহম্মদ শাহিদের। এরপরই ট্রাকে করে হাসপাতাল চত্বরে লোক ঢুকিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ডাঃ পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের। এরপরই নিরাপত্তার অভাবে এবং আক্রমণের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দেন। মূহুর্তের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পরে রাজ্যের চিকিৎসক মহলে। এরপরই এনআরএসের প্রতিবাদী ডাক্তারদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কর্মবিরতিতে সামিল হন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
নীলরতনে জমায়েত জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তাররা
আরও পড়ুন: তৃণমূলের নেতৃত্বেই এনআরএসে ডাক্তারকে মারধর, বিস্ফোরক মন্তব্য মুকুলের
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই হাসপাতালে আসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন সুপার দ্বৈপায়ন বিশ্বাসের সঙ্গে প্রায় আধ ঘন্টা বৈঠক করেন করেন মন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, ডাঃ পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে চন্দ্রিমা দেবী হাসপাতালে এলেও সরকারি স্তরে কোনো বিবৃতি বা প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা মুকুল রায় ডাক্তারদের মারধর করার দায় সম্পূর্ণ রূপে তৃণমূলের ওপর চাপিয়েছেন। মুকুলের কথায়, "একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে আড়াল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।"