এনআরএস হাসপাতালে কুকুরের কামড়ে জখম শিশু

শিশুর পরিবারের দাবি, এনআরএস হাসপাতালে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন থাকা সত্ত্বেও জখম শিশুকে তা দেওয়া হয়নি। এর পর বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রতিষেধক দেওয়ানো হয় ওই শিশুটিকে।

শিশুর পরিবারের দাবি, এনআরএস হাসপাতালে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন থাকা সত্ত্বেও জখম শিশুকে তা দেওয়া হয়নি। এর পর বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রতিষেধক দেওয়ানো হয় ওই শিশুটিকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শিশুকে কুকুরের কামড় এন আর এস হাসপাতালে

এনআরএস হাসপাতালে কুকুর নিধন নিয়ে যখন প্রতিবাদ তুঙ্গে, সে সময়েই ফের কুকুর কামড়ের ঘটনা ঘটল খাস এনআরএসেই। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, হাসপাতালের সুপারের ঘরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে রানি মল্লিক নামে বছর তিনেকের এক শিশুকে কামড়ে দেয় একটি কুকুর। ওই শিশুটি হাসপাতালের এক কর্মীরই সন্তান বলে জানা গিয়েছে। কুকুর কামড়ানোর সময়ে রানি তার দিদার সঙ্গে ছিল বলে খবর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কুুকুরটি রানির কোমরে কামড়ে ধরার পর আশপাশের লোকজনকে এসে ছাড়াতে হয়।

Advertisment

কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ নয়। হাসপাতালের ওই কর্মীর অভিযোগ, কুকুর কামড়ানোর পর শিশুটির চিকিৎসা করাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন তাঁরা। শিশুর পরিবারের দাবি, এনআরএস হাসপাতালে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন থাকা সত্ত্বেও জখম শিশুকে তা দেওয়া হয়নি। এর পর বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রতিষেধক দেওয়া হয় ওই শিশুটিকে। এনআরএস হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে প্রাথমিকভাবে ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি বলে অভিযোগ।

এদিকে এনআরএস কুকুর নিধন কাণ্ডে হাসপাতালের প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের দুই নার্সিং পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জামিন পেয়ে গত সোমবার থেকেই ক্লাসে ফিরেছেন মৌটুসি মণ্ডল এবং সোমা বর্মণ নামে ওই দুই ছাত্রী।

Advertisment

এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ওই দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁদের হাসপাতাল চত্বরেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। বর্তমানে এনআরএস হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখনও স্বাস্থ্য দফতর থেকে এরকম কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

এদিকে পশুর ওপর নৃশংসতার প্রতিবাদে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে জমায়েত হয়েছিলেন পশুপ্রেমীরা। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে ছিলেন টালিগঞ্জের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। তাঁকেও পুলিশ ধাক্কা মেরেছে বলে অভিযোগ করেছেন দেবলীনা।

দেবলীনার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেনি পুলিশ। তবে এক বিবৃতিতে বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যরাত পর্যন্ত জমায়েত চলেছিল পশুপ্রেমীদের, যার ফলে যানবাহন ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। অত রাতে তাঁরা সজোরে ঢাকঢোল বাজিয়ে এলাকার শান্তিভঙ্গ করেন বলেও দাবী করেছে পুলিশ। জমায়েতের মধ্যে থেকে মহিলা কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে কটুক্তি করা হলে ঘটনাস্থল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের অভিযোগ, কয়েকজন অফিসার পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গেলে তাঁদের ধাক্কা দেওয়া হয় জমায়েতের মধ্যে থেকেই। যারা এ কাজ করেছিল তাদের অবশ্য ধরতে পারেনি পুলিশ।