RG Kar Incident: 'নো সিকিউরিটি নো সার্ভিস'। গতকাল রাতে তান্ডব চলাকালীন পুলিশ ৫ তলায় আশ্রয় নিয়েছে। এমনকী বাথরুমে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। এমারজেন্সিতে ৫০০ থেকে ৬০০ পুলিশকর্মী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে হল হামলা। এই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ আরজি করের নার্সিং স্টাফেরা। পাশাপাশি পুলিশের মদতেই গতকালের হামলা হয়েছে, মারাত্মক অভিযোগ আরজি কর নার্সিং স্টাফেদের।
আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। গতকাল রাতে বেছে বেছে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙার পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হয়েছে ভেন্টিলেশন মেশিনও। তান্ডব চালানো হয়েছে হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগেও। নষ্ট করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার জীবনদায়ী ওষুধ। উঠেছে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও। আন্দোলনরত পড়ুয়া-চিকিৎসরা দাবি করেছেন আন্দোলনের মোড় ঘোরাতেই ভাংচুর চালানো হয়েছে হাসপাতালে। নার্সিং সুপারের কাছ থেকে নিরাপত্তার যথাযথ আশ্বাস না পেলে কাজে যোগদান করবেন না বলেও নার্সিং স্টাফেদের তরফে দাবি জানানো হয়েছে। আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁরাও।
আরও পড়ুন - < RG Kar Incident: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি, আরজি কর কাণ্ডে রাজপথ কাঁপাতে তৈরি বঙ্গ বিজেপি >
এদিকে আরজি কর কাণ্ডের জেরে আগামীকাল থেকে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছে, "আগামীকাল হাজরা মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করবে বিজেপির মহিলা মোর্চা। সকাল ১১ টা থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করতে রাজ্য বিজেপি। আরজি করের কাছাকাছি অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডে গোটা বাংলায় হবে প্রতীকী অবরোধ। সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে যোগ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডে জেরে সাধারণ মানুষের কাছে দু'ঘন্টা কর্মবিরতিরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল মধ্যরাতে আর জি কর ভাঙচুর কাণ্ডের পর আজ দুপুরে হাসপাতালে আসেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কথা বললেন ধর্নামঞ্চে থাকা আন্দোলনকারী চিকিৎসক-পড়ুয়াদের সঙ্গে। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হয় ন্যায় বিচারের আশ্বাসও । রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, আরজি কর কাণ্ড মানবতার পক্ষে লজ্জা। এটা সহ্য করা যায় না। আমরা এই ধরণের ঘটনা কোনভাবেই বরদাস্ত করব না। আন্দোলনকারীদের দাবি খুবই সামান্য। দোষীকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কেন শুরু থেকে চুপ করে দেখল পুলিশ প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না। পড়ুয়াদের কথা শুনতে হবে ওরা দেশের ভবিষ্যৎ।
আরজি করের ঘটনায় রাজভবনের তরফে চিঠি দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। ১৩ অগাস্ট চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে রাজ্য সরকার। মহিলা চিকিৎসক নার্সদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। সূত্রের খবর আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ন’জনকে। যদিও সরকারি ভাবে এই বিষয়ে কিছু জানায়নি কলকাতা পুলিশ।
গতকাল রাতে যখন রাজপথ দখল করে মেয়েরা ঠিক সেই সময়ে তাণ্ডব চালানো হয় আরজি কর হাসপাতালে। ভেঙে দেওয়া হয় ব্যারিকেড, হাসপাতালের ভিতরে থাকা গাড়ি, প্রতিবাদীদের মঞ্চ। ছাড় পেল না পুলিশের গাড়িও। এদিকে আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ বলছে, তাঁদের আন্দোলন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন না। পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।