Advertisment

Nusarat Jahan: ফ্ল্যাট 'প্রতারণা' মামলায় বিপাকে অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত, কী নির্দেশ আদালতের?

Flat fraud case: 'সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত জাহান। অভিযোগ, ২০১৪-১৫ সালে ৪০০-র বেশি প্রবীণ নাগরিকের থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিল এই সংস্থা। মূলত এই প্রবীণরা বেশিরভাগই ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। কিন্তু সেই ফ্ল্যাট তাঁদের দেওয়া হয়নি। কিন্তু ওই সময়কালে নুসরত পাম অ্যাভেনিউতে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনে নেন বলে জানা যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nusarat jahan flat fraud case alipore judges court , নুসরত জাহান ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলা আদালতে সশরীরে হাজিরা আলিপুর জজ কোর্ট

বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।

Nusarat Jahan flat fraud case: কোনও ছাড় নয়, ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে সশীরেই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর জজ কোর্ট।

Advertisment

বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সংস্থা ক্রেতাদের ফ্ল্যাট কেনানোর টাকা নিয়ে ঠকিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে ইডি। এই প্রতারণা সংক্রান্ত মামলাটি বিচারাধীন ছিল আলিপুর আদালতে। সেই মামলায় এর আগে আলিপুর আদালতে যতবার শুনানি হয়েছে, ততবারই নানান কারণ দেখিয়ে নুসরত জাহান আদালতে হাজিরা দেননি। পরে আলিপুর আদালত এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেত্রীকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নুসরত জাহান। শেষপর্যন্ত আলিপুর আদালতের নির্দেশ বহাল রাখল জজ কোর্ট। বিচারক জানান, নিম্ন আদালতের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। ফলে ফ্ল্যাট প্রতারণার মামলায় হাজিরা দিতেই হবে নুসরতকে।

আরও পড়ুন- ISF: বিজেপির পথেই এবার ‘ভাইজানে’র আইএসএফ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদরা

'সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত জাহান। অভিযোগ, ২০১৪-১৫ সালে ৪০০-র বেশি প্রবীণ নাগরিকের থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিল এই সংস্থা। মূলত এই প্রবীণরা বেশিরভাগই ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। কিন্তু সেই ফ্ল্যাট তাঁদের দেওয়া হয়নি। কিন্তু ওই সময়কালে নুসরত পাম অ্যাভেনিউতে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনে নেন বলে জানা যায়। প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর নুসরত স্বীকার করে নেন যে, তিনি ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে কোম্পানি থেকে কিছু ধার নিয়েছিলেন। সেই অর্থেই ওই ফ্ল্যাট কেনেন। পরে ঋণের অর্থ ফেরৎ দিয়ে দেন। নুসরত দাবি করেন তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন।

সাংসদের ঋণের বিষয়টি অস্বীকার করেন 'সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড'-এর ডিরেক্টর রাকেশ সিং। প্রশ্ন ওঠে, কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ডিরেক্টর তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে এভাবে ধার নিতে পারেন? এরপর ইডি নুসরত ও রাকেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।

tmc Nusrat Jahan Basirhat flat fraud case
Advertisment