OBC Certificate cancelled by Calcutta High Court: ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সকল ওবিসি শংসাপত্রকে বাতিল করে দিল আদালত। চাকরি বা অন্য কোন কাজে সেই শংসাপত্র আর বৈধ বলে গণ্য হবে না। আদালতের এই রায়ের ফলে বাতিল হয়েছে ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট। তবে যারা সেই শংসাপত্রকে কাজে লাগিয়ে চাকরি করছেন সেক্ষেত্রে আদালতের আজকের রায়ের ফলে চাকরি যাওয়ার কোন আশঙ্কা থাকবে না বলেই জানিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিকে এই রায়ের প্রেক্ষিপ্তে খড়দহের নির্বাচনী জনসভা থেকে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টের রায়ের তীব্র সমালোচনা করে তিনি স্পষ্ট জানালেন, "আদালতের রায় মানি না। ওবিসি 'সংরক্ষণ যেমন চলছে, তেমনই চলবে। যে রায় আদালত দিয়েছে সেই রায় আমরা মানি না। এটা বিজেপির রায়। ওবিসি রিজার্ভেশন চলছে, চলবে। ওবিসি সংরক্ষণ অব্যাহত থাকবে।' নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি এসব নিয়ে খেলা খেলছে। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কি কখনও বলতে পারেন যে তফশিলি সংরক্ষণ মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া হবে? এটা তো সাংবিধানিক গ্যারান্টি। তারা এটা করছে শুধু ভোটের জন্য"।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে মমতা আরও বলেন, 'সংখ্যালঘুরা কখনও তফসিলি, আদিবাসীদের সংরক্ষিত আসনে হাত দিতে পারে না। যেই রায় দিয়ে থাকুন, এটা বিজেপি-র রায়। ওবিসি সংরক্ষণ বাস্তবায়নের আগে সমীক্ষা করা হয়েছিল। এর আগেও মামলা করা হলেও কোনো ফল হয়নি। এই রায় আমরা মানব না। OBC সংরক্ষণ চলছে-চলবে'।
OBC সংরক্ষণ ইস্যুতে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১০ এর আগে ওবিসি তালিকা ও শংসাপত্র বৈধ বলেই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এদিনের এই রায়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন প্রভাব ফেলবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
তৃণমূল শাসনকালে তৈরি হওয়া সকল ওবিসি শংসাপত্রকে বাতিল বলে ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১০ সালের পর তৈরি ৫ লক্ষ সার্টিফিকেট বাতিল বলে ঘোষণা করেছে শীর্ষ আদালত। ২০১২ সালে সরকার যে ওবিসি সংক্রান্ত নতুন আইন আনা আনে তাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। রাজ্য সরকারের ওবিসি তালিকাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় আদালতে।
১৪ বছর পর ঐতিহাহিক রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রায়ে আদালত জানিয়েছে, ২০১০ সালের পর যে সকল ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে তা যথাযথ আইনি পদ্ধতি মেনে তৈরি হয়নি। ২০১০ সালের আগে যারা ওবিসি হিসাবে গণ্য হয়েছিলেন তাদের আজকের এই রায়ে কোন প্রভাব পড়বে না বলেও আদালত জানিয়েছে।
২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকা বাতিল করল শীর্ষ আদালত। আদালতের এই রায়ের ফলে বাতিল হল ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট। তবে ২০১০ এর পর ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বহাল থাকছে। নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কোন হস্তক্ষেপ করেনি আদালত।
কলকাতা হাইকোর্ট তার চূড়ান্ত রায়ে বলেছে ২০১০-এর আগে বা পরে ওবিসি শংসা পত্র দেখিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের চাকরি বহাল থাকবেন। চাকরি ক্ষেত্রে এই রায় কোন প্রভাব ফেলবে না। ২০১২ সাল থেকে যে প্রক্রিয়ায় আইন তৈরি করে ওবিসি শংসা পত্র বিলি করা হতো সেই গোটা প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। ওবিসি তালিকা বানাতে ১৯৯৩ সালের আইন মেনে কমিশনের সুপারিশ রাজ্য সরকারকে বিধানসভায় পেশ করতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন এই রায় ঘোষণা করে বলেছেন, 'এরপর কারা ওবিসি হিসাবে গণ্য হবে তা ঠিক করবে বিধানসভা। ওয়েসয় বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ারকে তার তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই তালিকা রাজ্য সরকার বিধানসভায় পেশ করবেন। যাদের নামের তালিকা অনুমোদিত হবে তারাই ওবিসি বলে গণ্য হবেন'।