offbeat tourist spot puri: বাঙালি আর পুরীর বন্ধুত্ব সেই যুগ-যুগ ধরে চলে আসছে। বাঙালির বেড়ানোর বাহানাই হল পুরী। জগন্নাথ ধাম পুরীতে যাননি এমন বাঙালির হদিশ পাওয়াই বেশ কঠিন। একটু সুযোগ পেলেই ভ্রমণরসিক বাঙালির দল পুরী ছোটে। তবে জানেন কি! এই পুরীর মধ্যেই রয়েছে আরও এক 'পুরী'। মন্ত্রমুগ্ধকর এই এলাকাটি বলতে পারেন পুরীর নয়া আবিষ্কার। বঙ্গোপসাগরের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নীল জলরাশি ঘেরা এই জলাভূমির অসাধারণ সৌন্দর্য্য মন ভরিয়ে তুলবে। তাই এবার থেকে পুরীতে বেড়াতে গেলে অপূর্ব এই এলাকায় বেড়িয়ে আসতে ভুলবেন না। কী নাম সেই জায়গাটির? যাবেনই বা কীভাবে? কী দেখবেন প্রকৃতির নিজের হাতে সাজানো এপ্রান্তে? এই প্রতিবেদনেই রইল তার বিস্তারিত তথ্য।
পুরী থেকে সড়কপথে কিছুটা গেলেই রয়েছে এই 'তাপাং' (Tapang)। একেবারে অফবিট এই ডেস্টিনেশন (Offbeat Destination) পুরীর (Puri) নতুন আবিষ্কার। বারবার পুরী গিয়ে যাঁরা সমুদ্র দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরা বেড়িয়ে আসতেই পারেন এতল্লাট থেকে। এপ্রান্তে এলে মনে হবে ঠিক যেন সমুদ্রঘেরা একটি খাঁড়িতে রয়েছেন।
পাথুরে খাদানের মাঝে নীল জলের হ্রদ এটি। নিরিবিলি-কোলাহলমুক্ত এই পরিবেশে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত ভুলিয়ে দেবে আপনার মনের সব ক্লান্তি-বিষন্নতা। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা এই নীল জলের হ্রদের অসাধারণ সৌন্দর্য্য ঠিক লেখনীতে প্রকাশ করা কঠিন।
আরও পড়ুন- দিঘা-পুরী ভুলে যাবেন! বর্ষায় কলকাতার কাছের সমুদ্রপাড়ের অপূর্ব শোভা হৃদয়ে ঝড় তুলবে
পুরীর কাছেই পাথুরে জমির পাড়ে রয়েছে নীল জলের এই হ্রদটি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একটা সময় এখান থেকে বাড়ি তৈরির জন্য স্টোন চিপস খননের কাজ চলত। বছরের বছর ধরে সেই কাজ চলার জেরেই এখানে হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। এই হ্রদের জলের রং একেবারে নীল। প্রথম দিকে ওড়িশা সরকার এই অপূর্ব এলাকায় পর্যটকদের যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে পরে ২০২২ সালের পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে এতল্লাটে।
আরও পড়ুন- জল-জঙ্গল-পাহাড়ের অপূর্ব মিশেল! কলকাতার কাছেই এপ্রান্ত যেন তাক লাগানো ছবি
কীভাবে যাবেন এই তাপাংয়ে?
পুরী থেকে তাপাংয়ের দূরত্ব মেরেকেটে ৫৬ কিলোমিটারের মতো। ওড়িশার খুরদা জেলার মধ্যে পড়ে এই এলাকাটি। চাইলে পুরী গিয়ে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করেও পৌঁছে যেতে পারেন তাপাং-এ। এছাড়াও খুরদা স্টেশনে নেমে সেখান থেকেও যেতে পারেন এই এলাকায়। তাপাংয়ের পথে পড়বে দয়া নদী। কলিঙ্গ যুদ্ধের সময় এই নদীর জলই মানুষের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল। তাপাং ঘোরার পথে সেই দয়া নদীও দেখে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন- নিরিবিলি সাগরতটে লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি, অসাধারণ এই সমুদ্রতট কলকাতার খুব কাছেই