Dacoity in Bandel: মাথায় সার্চলাইট বেঁধে এক বৃদ্ধার বাড়িতে নির্বিচারে লুঠপাট চালাল একদল দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোররাতে। ব্যান্ডেলের নলডাঙ্গা এলাকায়। প্রায় ৭০ বছরের রেণু পালের দুই মেয়ে। দুই মেয়েই বিবাহিতা। বড় মেয়ে অদিতি বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন ব্যান্ডেল ওলাইচন্ডীতলায়। ছোট মেয়ে সোনালী শিণ্ডে থাকেন মুম্বইতে। গত দু মাস ছোটমেয়ের বাড়িতে কাটিয়ে সোমবার নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন রেণু।
রেণুদেবীর প্রয়াত স্বামী ছিলেন সরকারি কর্মচারি। আর রেণু ছিলেন রেলে। সেই হিসেবে মোটা অংকের পেনশন পেতেন এই বৃদ্ধা। মুম্বাই থেকে আসার পর তিনি ব্যাংক থেকে পেনশন এনে ঘরের আলমারিতে রেখেছিলেন। দুষ্কৃতীরা আলমারির চাবি খুলে সেই পেনশনের ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, ভয় দেখিয়ে ওই বৃদ্ধার পরনের অলংকারও খুলতে বাধ্য করে। এরপর তারা ওই বৃদ্ধাকে তাঁরই সায়া দিয়ে বেঁধে পালিয়ে যায়।
এদিন ঘটনাস্থলে গেলে রেণু জানান, "তখন মাঝরাত হবে। আমি বাথরুমে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বের হয়ে ঘরে আসতেই দেখি অন্ধকার ঘরের মধ্যে চারটে আলো। বুঝতে পারি কেউ ঢুকেছে। ওরা ছিল জনা চারেক। অল্পবয়সী ছোকরা। বুঝতে পারি সবার মাথায় ব্যান্ড লাগানো আলো আছে।" বৃদ্ধাকে দুষ্কৃতীরা বলে, চিৎকার করলে মেরে দেবে। হাত পা বেঁধে রেখে শরীর থেকে সোনার গয়না খুলে নেয়। আলমারির চাবি নিয়ে আলামারি খোলে। সেখান থেকে পেনশনের ৩৫ হাজার টাকাও নিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন Abhishek Banerjee: অভিষেকের ফোন নম্বর ক্লোন করে বিরাট জালিয়াতি, দিল্লি থেকে রূপান্তরকামী-সহ ধৃত ২
ওই বৃদ্ধা আরও জানান, মনে হয় নেশা করেছিল প্রত্যেকেই। একজন তো ঘুমিয়েও পরেছিল। তাকে অন্যান্যরা ঠেলে তুলে বলে, এখানে কি ঘুমোতে এসেছিস? যেটা করতে এসেছিস সেটা আগে করে কাট। লুট করতে করতে বৃদ্ধার স্বামী কী করত, কবে মারা গেছে, মেয়েরা কোথায় থাকে এসবও জেনে নেয় দুষ্কৃতীরা। সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ার পর দুষ্কৃতীরা যখন চলে যাচ্ছে বিরক্ত বৃদ্ধা এও বলেন টিভিটা কেন ফেলে রাখছে? সেটাও নিয়ে গেলেই পারে। দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পর ওই বৃদ্ধা নিয়েই তাঁর বাঁধন খুলে ফেলে বাইরে বেরিয়ে আসেন। পাড়ার ছেলেদের সহযোগিতায় স্থানীয় ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে খবর যায়। পুলিশ আসে।
পুলিশের অনুমান, ওই বৃদ্ধা দীর্ঘদিন বাড়ি ছিলেন না। ফাঁকা পড়ে ছিল বাড়ি। সেই খবর ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে। তারা সম্ভবত বুঝতে পারেনি ওই বৃদ্ধা চলে এসেছেন। ভেবেছিল অন্ধকারে চুরি করে চলে যাবে। পাশাপাশি পুলিশ নিশ্চিত কোনও লোকাল গ্যাংয়ের কাজ এটা। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, তাঁরা সব দিকই খতিয়ে দেখছেন। কিছু সূত্র তাঁরা পেয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি অপরাধীরা ধরা পড়বে বলে তাঁরা আশা করছেন।