old woman: 'মরা' মানুষ হেঁটে এল কী করে!' তাজ্জব কান্ডে চোখ ছানাবড়া!
এমন ঘটনা যে এই প্রথম ঘটেছে তা অবশ্য নয়। এর আগেও ঠিক এই ধরনের কিছু ঘটনাই প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে আলোচনাও চলেছে বেশ কিছুদিন ধরে। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এমন অবাক কাণ্ডে অনেকেই তাজ্জব বনে গিয়েছেন। এলাকায় এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এমন ঘটনা যে এই প্রথম ঘটেছে তা অবশ্য নয়। এর আগেও ঠিক এই ধরনের কিছু ঘটনাই প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে আলোচনাও চলেছে বেশ কিছুদিন ধরে। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এমন অবাক কাণ্ডে অনেকেই তাজ্জব বনে গিয়েছেন। এলাকায় এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়ে যায়।
old woman: তাজ্জব কাণ্ডে অবাক প্রত্যেকে। কীভাবে এঘটনা ঘটেছে তা বুঝে উঠতেই বেগ পেতে হচ্ছিল অনেককে। তবে মস্ত ভুল যে একটা হয়েছে তা বুঝতে দেরি হয়নি সরকারি অফিসের আধিকারিক থেকে শুরু করে অন্য কর্মীদেরও। তবুও ভুল শোধরাতে অসহায় বৃদ্ধাকে তাঁরা কোনও আশ্বাস দেননি বলেই দাবি। এমনকী ৮০ বছর পেরনো এক বৃদ্ধার এমন করুণ পরিস্থিতি শুনেও খোদ সরকারি অফিসের অনেকে নাকি বিষয়টি নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা পর্যন্ত করেছেন বলে ওই বৃদ্ধার দাবি।
Advertisment
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির (Kultali) এই ঘটনা এখন জোর চর্চায়। কুলতলির কুন্দখালি গোদাবর পঞ্চায়েতের বালাহারানিয়া গ্রামের বাসিন্দা মন্দাদোরী মিশ্র। ৮০ পেরনো এই বৃদ্ধা পঞ্চায়েতের খাতায় 'মৃত'! সেই কারণেই কয়েকবছর ধরে মিলছে না বার্ধক্যভাতার টাকা। এর আগে ভাতার সামান্য টাকাতেই কোনওমতে দিন গুজরান হত বিধবা এই বৃদ্ধার। তবে বর্তমানে বার্ধক্যভাতা বন্ধ থাকায় তিনি পরেছেন ঘোর সমস্যায়।
এই সেই বৃদ্ধা।
তবে এতদিন সরকারি খাতায় তাঁকে যে মৃত বলে দেখানো হয়েছে তা তিনি জানতেন না। বার্ধক্যভাতা কেন বন্ধ তা জানতে নিজেই তিনি গিয়েছিলেন বিডিও-পঞ্চায়েত অফিসে। সেখানে গিয়ে সব শুনে তিনিও অবাক। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, পঞ্চায়েতের রেকর্ড বুকে নাকি মৃত হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছেন তিনি। 'মৃত' মন্দাদোরী দেবীই পেয়ে হেঁটে পঞ্চায়েতে এসেছেন, এটা দেখে পঞ্চায়েতের কর্মীদের একাংশ মেতে ওঠেন ঠাট্টা-হাসিতেও।
তবে অসহায় বৃদ্ধা রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভুল যে একটা হয়েছে তা বুঝেছেন পঞ্চায়েতের আধিকারিক থেকে শুরু করে কর্মীরাও। তবে এখনও পর্যন্ত সেই ভুল শোধরাতে বা ওই বৃদ্ধাকে পাকাপাকিভাবে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি। আপাতত অন্তহীন অপেক্ষা আর চোখের জলই সম্বল অশীতিপর বৃদ্ধের।
নিজের এই অসহায় পরিস্থিতি সম্পর্কে ওই বৃদ্ধা বলেন, "বার্ধক্যভাতার টাকা পাই না। পঞ্চায়েতে গেলে ওরা বলল, মরা মনুাষ হেঁটে এল কী করে। চারবার গেছি, টাকা এক বছর ধরে পাচ্ছি না। খুব অসুবিধায় পড়েছি। পয়সাটা পেলে নিজে একটু ওষুধ কিনতে পারি। বিডিও অফিস, পঞ্চায়েতে গিয়েছি। বিডিও অফিস থেকে বলেছে, টাকা এলে পাবে। পঞ্চায়েতে গেলে ওরা হাসাহাসি করে।" এদিকে কুন্দখালি গোদাবর পঞ্চায়েতের প্রধান রিজা গাজি বলেন, "আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখছি। আমার কাছে এতদিন কিছু জানানো হয়নি।"