আজ কৃষক দিবস। অন্নদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ''প্রত্যেক কৃষকের আত্মত্যাগকে স্মরণ করি। যাঁরা তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন, আমরা তাঁদের চেতনাকে সম্মান জানাই এবং তাঁদের সাহসকে অভিনন্দন জানাই।'' কৃষক দিবসে টুইট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে প্রায় দু'বছর ধরে মরণপণ লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন কৃষকরা। দেশের একাধিক রাজ্য থেকে দিল্লিতে জড়ো হওয়া কয়েক লক্ষ কৃষকের সেই নাছোড় আন্দোলন জয়ী হয়েছে। পিছু হঠেছে সরকার। বাতিল হয়েছে আইন। কৃষক দিবসে দেশের অন্নদাতাদের অকুতোভয় সেই লড়াইকে কুর্নিশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রতি বছর ২৩ ডিসেম্বর দিনটি দেশজুড়ে কৃষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। কৃষি প্রধান ভারতের অর্ধেকের বেশি জনগণ কৃষি কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন। এদিনই দেশের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী তথা কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিংয়ের জন্মদিন। দেশের কৃষকদের স্বার্থে তিনি একাধিক কাজ করে গিয়েছেন। কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর একাধিক কাজ তাঁকে স্মরণীয় করে রেখেছে। তাঁর স্মৃতির উদ্দ্যেশ্যে সারা দেশব্যাপী তাঁর জন্মদিনটি 'কৃষক দিবস হিসাবে' পালন করা হয়ে থাকে।
২০০১ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংয়ের কৃষির উন্নয়নে নানা কাজকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর জন্মদিনটি কৃষক দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত ভারত সরকার। তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিনে দেশের অন্নদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। বিশেষ এই দিনটিতে দেশের কৃষকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন টুইটে লিখেছেন, ''আজ প্রত্যেক কৃষকের আত্মত্যাগকে স্মরণ করি, যাঁরা তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন। আমরা তাঁদের চেতনাকে সম্মান জানাই এবং তাঁদের সাহসকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আমাদের সমস্ত কৃষকদের বিজয় উদযাপন করি! কিষান দিবসে, আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে কাউকে ভারতের মেরুদণ্ডের অসম্মান করতে দেব না। জয় কিষাণ!''