শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়কাণ্ড। তার মধ্যেই ওই কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন বছরের উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানাধিকারী গোবরডাঙার প্রেরণা পাল। কৃতী এই ছাত্রীর প্রতিবাদী কণ্ঠ রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দেয় সামাজিক মাধ্যমে। অভিযোগ ছিল, এরপর প্রেরণার পরিবারকে নানাভাবে অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেসব অবশ্য ক্রমশ শিথিল হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার বিশ্ববাংলা মেলাপ্রাঙ্গণে কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা মঞ্চে হাজির ছিলেন প্রেরণা। দেখা গেল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বসেই ছবি তুলেছেন তিনি।
সংবর্ধনা মঞ্চে কৃতী পড়ুয়াদের কাছে এদিন নিজেই গিয়ে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবিও তোলেন। সেই রকমভাবেই মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রেরণা পালের টেবিলেও। তখনই ছবি ওঠে তাঁদের।
আরও পড়ুন- স্নাতকের পাস-স্নাতকোত্তর বিভ্রান্তি কাটল, ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স নিয়ে কী সাফাই মমতার?
উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রেরণা পাল নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। পাশাপাশি বলেছিলেন, 'এ দুর্নীতি যুক্ত রাজ্য আমার রাজ্য হতে পারে না।' তারপর থেকেই নেটদুনিয়ায় তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। সেই সময় প্ররণা দাবি করেন যে, 'বাংলা আমার মা। সুন্দর, আদর্শ বাংলা দেখতে চাই। দুর্নীতির এই বাংলা দেখতে চাই না।'
এদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান প্রসঙ্গে কৃতী ছাত্রী প্রেরণার বাবা শিক্ষক অশোক পাল বলেছেন, 'এটা কোনও গোষ্ঠী বা ব্যাক্তির অনুষ্ঠান নয়। এটা সংবিধানিক সংস্থার সংবর্ধনা। আমার মেয়ের অর্জন, সেই কারণেই আসা।'
সংবর্ধনা পাওয়ার পর প্রেরণা পাল বলেছেন, 'আমি কখনও সরাসরি বলিনি, বাংলা আমার রাজ্য নয়। আমার বক্তব্যের একটি ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।' গবেষণার পর এ রাজ্যেই কী অধ্যাপনা করতে আগ্রহী এই কৃতী? জবাবে প্রেরণা বলেছেন, 'আমি যদি সুযোগ পাই, বাংলার বাইরে পড়াশোনা বা চাকরি করার, তাহলে অবশ্যই করব। বাংলাতেও যদি উপযুক্ত পরিবেশ পাই, তাহলে বাংলাতেও পড়াশোনা ও চাকরি করব।'