Advertisment

মনোনয়নের শেষ দিনেও বিরোধী কম নানুরে, ভোটের আগেই বিজয় মিছিল তৃণমূলের

বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছে। তাই মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Nanur Tmc

মনোনয়ন জমার শেষ দিনেও বিরোধী শূন্য নানুর, ভোটের আগেই বিজয় মিছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। বিরোধীরা অনেকেই মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে চলেছে তৃণমূল। সেই ছবিটা দেখা গেল বীরভূমের নানুরেও। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হতেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দেখা গেল উল্লাসের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠতে। ভোট শুরুর আগেই বিজয় মিছিল করতে।

Advertisment

নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য জানান, 'নানুর পঞ্চায়েত সমিতির আসনসংখ্যা ৩৩। বিরোধীরা ১০-১২টির বেশি আসনে মনোনয়ন জমাই করতে পারেনি। নানুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৯টি আসন আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নীচে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিরোধীরা। স্বাভবিকভাবেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলেই থাকছে। সেই কারণে বিজয় মিছিল এবং আবির খেলা হল।'

বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, রীতিমতো বেছে বিরোধী প্রার্থীদের ভয় দেখানো হয়েছে। প্রাণভয়ে বিরোধী প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। আর, তার ফলেই বিভিন্ন জায়গায় শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত করেছে। যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিরোধীরা আসলে প্রার্থীই খুঁজে পায়নি। তার ফলেই প্রার্থী দিতে পারেনি। আর, উলটে শাসক দলের বদনাম করছে।

যদিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে বারবার অভিযোগ এসেছে, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মনোনয়নপত্র জমা করাকে কেন্দ্র করে হিংসার ছবি। সেই হিংসার অঙ্গ হিসেবে কোথাও প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কোথাও আবার পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে মুড়ি-মুড়কির মত বোমা পড়েছে। কোথাও আবার বিরোধী প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- মনোনয়ন পেশ করতে যাওয়ার ‘সাজা’, কংগ্রেস নেতাকে ফেলে দেওয়া হল দোতলা থেকে

এমনকী, প্রার্থীর সঙ্গে যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছেন, তাঁদের ওপরও হামলার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও বিরোধী নেতাদের ফেলে দেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার বিডিও অফিসের কাছাকাছি পৌঁছতেই দেওয়া হয়নি। কোথাও আবার মাঝপথ থেকেই ভয় দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, বিরোধী নেতা-কর্মীদের মারধর করার অভিযোগও উঠেছে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

panchayat vote Oppositions tmc
Advertisment