রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হুগলির রিষড়া অশান্ত হয়েছিল। সোমবারও সেই রেশ ছিল। যার দায় নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি টানাপোড়েন চলে। শান্তি ফেরাতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রিষড়া পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। বর্তমানে ছন্দে ফিরছে রিষড়া। এই অবস্থায় রিষড়ায় কী ঘটেছিল তা জানতে শনিবার দুপুরে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিটির ছ'জন সদস্য। কিন্তু রিষড়ায় যাওয়ার বেশ কিছুটা আগেই কমিটির সদস্যদের আটকে দেয় পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা যেতে পারবেন না জানানো হয় পুলিশের তরফে।
কোন্নগড়ের বাঙ্গিহাটির কাছে কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিটিকে আটকে দেয় পুলিশ। ফলে গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়েই তাঁদের এই সফর বলে জানান তাঁরা। এমনকী পুলিশের শর্ত মেনেই তাঁরা রিষড়া যেতে চান বলে দাবি করা হয়। প্রয়োজনে তিনটি দলে ভাগ হয়ে ২ জন সদস্য রিষড়ায় যেতেও তাঁদের বাধা নেই বলে জানানো হয়। তবে চিঁড়ে ভেজেনি। রিষড়ায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিটির সদস্যদের।
কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিটির এক সদস্য সংবাদ মাধ্যমে বলেন, 'পুলিশ সুপারকে ফোনে জানিয়েছি যেখানেই থাকুন আপাদের আলোচনার সময় দিন। কিন্তু এখনও সেটা চূড়ান্ত হয়নি। আমরা তিন দিন বাংলায় রয়েছি। প্রয়োজনে কাল বা পরশু এখানে আসব।'
পুলিশের এই বাধা সম্পর্কে বেজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'তৃণমূল দাঙ্গা লাগিয়েছে। প্রমাণ এখনও মোছা হয়নি। তাই ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিটিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রমাণ লোপাট হলেই সব খুলে দেওয়া হবে। ১৪৪ ধারা উঠে যাবে। এটা সত্য আড়ালের চেষ্টা। গণতন্ত্র এভাবেই এ রাজ্যে হত্যা হচ্ছে।'
তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'এটা বিজেপির কমিটি। এরা পাটনায় কেন গেলেন না? অকুস্থলে যাওয়ার আগেই এঁরা বলছেন অধিকার সংঘন হয়েছে। তাহলেই স্পষ্ট এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কমিটি। এটা আসলে বিজেপির চক্রান্ত। হাইকোর্টেই তো উদ্দেশ্যহীনভাবে রিষড়ায় যেতে নিষেধ করেছে। সেটাও এঁরা শুনছে না।'