গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় বনকর্মীদের। এক ব্যক্তির বাড়িতে মিলল বিভিন্ন প্রজাতির পাখির শুকনো নমুনা। মোটা টাকার বিনিময়ে বিদেশের নামী ডিজাইনারদের এই নমুনা বিক্রি করতেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানা এলাকার এই ব্যক্তি। আপাতমস্তক এই জাল কারবার চালিয়ে বছরের পর বছর ধরে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন সালাউদ্দিন মীর নামে এই ব্যক্তি। তবে হল না শেষ রক্ষা।
Advertisment
ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর কাছে দিন কয়েক আগেই গোপন সূত্রে একটি খবর আসে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই চলে আচমকা অভিযান। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বনবিভাগ ও নামখানার রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে একটি দল হানা দেয় ঢোলাহাটে। সেখানেই সালাউদ্দিন মীর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চলে অভিযান।
ওই বাড়ি থেকেই প্রচুর সংখ্যক বিভিন্ন প্রজাতির মাছরাঙার শুকনো নমুনা, ধুসর ও লাল বনমুরগীর পাখনার নমুনা, তিতিরের শুকনো নমুনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বনদফতর সূত্রের খবর, ২০১৬ সাল থেকে এই ব্যক্তি রাশিয়া, জাপান, বুলগেরিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, ওয়াশিংটন, নাইরোবি, কেনিয়া, চিলি-সহ প্রভৃতি দেশে ডিজাইনারদের জন্য এই শুকনো ছালগুলি রফতানি করত।
জাল এই কারবার চালিয়ে গত কয়েক বছরে মোটা টাকা মুনাফা লুঠেছে সালাউদ্দিন মীর নামে ওই ব্যক্তি। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ বনকর্তাদের। আপাতত ধৃতকে দফায়-দফায় জেরা করে গোটা চক্রের ব্যাপারে খোঁজ-খবর চালানো হচ্ছে। কোথা থেকে এই কিংফিশার, তিতির-সহ পাখির নমুনা ওই ব্যক্তি সংগ্রহ করত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।