ঘরভর্তি মাছরাঙা-তিতিরের ছাল! ঢুকেই চোখ ছানাবড়া বনকর্মীদের

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় বনকর্মীদের।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় বনকর্মীদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
one arrested on the charge of smuggling bird bark

মাছরাঙা, তিতির-সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রচপর শুকনো ছাল বাজেয়াপ্ত। ছবি: মীনা মণ্ডল।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় বনকর্মীদের। এক ব্যক্তির বাড়িতে মিলল বিভিন্ন প্রজাতির পাখির শুকনো নমুনা। মোটা টাকার বিনিময়ে বিদেশের নামী ডিজাইনারদের এই নমুনা বিক্রি করতেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানা এলাকার এই ব্যক্তি। আপাতমস্তক এই জাল কারবার চালিয়ে বছরের পর বছর ধরে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন সালাউদ্দিন মীর নামে এই ব্যক্তি। তবে হল না শেষ রক্ষা।

Advertisment

ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর কাছে দিন কয়েক আগেই গোপন সূত্রে একটি খবর আসে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই চলে আচমকা অভিযান। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বনবিভাগ ও নামখানার রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে একটি দল হানা দেয় ঢোলাহাটে। সেখানেই সালাউদ্দিন মীর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চলে অভিযান।

publive-image
উদ্ধার হওয়া পাখির ছাল।

ওই বাড়ি থেকেই প্রচুর সংখ্যক বিভিন্ন প্রজাতির মাছরাঙার শুকনো নমুনা, ধুসর ও লাল বনমুরগীর পাখনার নমুনা, তিতিরের শুকনো নমুনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বনদফতর সূত্রের খবর, ২০১৬ সাল থেকে এই ব্যক্তি রাশিয়া, জাপান, বুলগেরিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, ওয়াশিংটন, নাইরোবি, কেনিয়া, চিলি-সহ প্রভৃতি দেশে ডিজাইনারদের জন্য এই শুকনো ছালগুলি রফতানি করত।

Advertisment

আরও পড়ুন- শুকনো হাওয়া গিলে খাচ্ছে বাংলাকে, সহ্যের সীমা ছাড়াচ্ছে গরম! স্বস্তির বৃষ্টি কবে?

জাল এই কারবার চালিয়ে গত কয়েক বছরে মোটা টাকা মুনাফা লুঠেছে সালাউদ্দিন মীর নামে ওই ব্যক্তি। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ বনকর্তাদের। আপাতত ধৃতকে দফায়-দফায় জেরা করে গোটা চক্রের ব্যাপারে খোঁজ-খবর চালানো হচ্ছে। কোথা থেকে এই কিংফিশার, তিতির-সহ পাখির নমুনা ওই ব্যক্তি সংগ্রহ করত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Arrest West Bengal South 24 Pgs